তখনও ভিতরে। নিজস্ব চিত্র
গাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের নাম অরিন্দম রক্ষিত (৪৬)। বাড়ি পুরুলিয়া শহরের নাপিতপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে ইঁদপুরের হাটগ্রাম এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিশের অনুমান গাড়ির মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অরিন্দমবাবুর। ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
অরিন্দমবাবুর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, পুরুলিয়ায় একটি এসি মেশিনের সার্ভিস সেন্টার ছিল তাঁর। রবিবার সকালে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বাঁকুড়া-ছাতনা (৬০ এ) জাতীয় সড়কের পাশে হাটগ্রামের ওই পেট্রল পাম্পের কাছে এসে গাড়ি থামিয়েছিলেন অরিন্দমবাবু।
ওই পাম্পের কর্মীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাম্পে ঢোকার মুখে একটি গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কাছে গেলে তাঁদের ওই গাড়ির চালক জানান, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। গাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তার পরে আর তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি পাম্পের কর্মীদের।
পাম্পের কর্মীরা জানান, রাতভর গাড়িটি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। সোমবার সকালে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা গাড়ির জানালার কাচে উঁকি দিয়ে দেখেন, চালকের আসনে পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর মুখে ফেনার দাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। খোঁজ খবর করে পুলিশ জানতে পারে মৃতের নাম অরিন্দম রক্ষিত।
অরিন্দমবাবুর ভাইপো ঋষি রক্ষিত বলেন, “কাকুর হৃদরোগ ছিল। তবে সুস্থ অবস্থাতেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কী ভাবে এমন হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।