ফুটবল পায়ে চিনের কনসাল জেনারেল। শনিবার দমদমায়। নিজস্ব চিত্র
বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হারিয়ে যাওয়া শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো হোক। শনিবার বীরভূম সফরে এসে এ কথা বললেন কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল ঝা লিয়োউ। হস্তশিল্পের পাশাপাশি এলাকার শিল্প-সংস্কৃতি প্রসারের ব্যাপারেও চিন সরকার যে আগ্রহী, তা এ দিন তিনি জানান।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ছাড়াও একাধিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। এ দিন একটি সংস্থার কর্মসূচিতে যোগ দেন সস্ত্রীক কনসাল জেনারেল। প্রথমে বোলপুর থেকে কিছুটা দূরেই ইটন্ডা গ্রামের প্রাচীন তিনটি টেরাকোটা মন্দির পরিদর্শন করেন তাঁরা। এর পরে চলে আসেন বল্লভপুরে আমার কুটিরে। সেখানে থাকা হস্তশিল্পের সামগ্রী খুঁটিয়ে দেখেন। পরে ঘোষালডাঙার বিষ্ণুবাটি আদিবাসী এলাকায় একটি সাঁওতালি মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।
এ দিন বিকেলে দমদমা গ্রামে আদিবাসী মহিলা সম্প্রদায়ের ফুটবল খেলায় অংশ নিতে দেখা যায় চিনা কনসাল জেনারেলকে। সেখানে আদিবাসী খেলোয়াড়দের হাতে ফুটবল ও জার্সি তুলে দেন তিনি। সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে ভারত-চিনের যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল, তা এখনও অটুট রয়েছে।” শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন আদিবাসী গ্রাম, হস্ত ও কুটিরশিল্প কেন্দ্র, সংস্কৃতি কেন্দ্র ঘুরে তিনি আপ্লুত বলে জানান। অনলাইনে শান্তিনিকেতনের হস্ত ও কুটির শিল্প সামগ্রীর বিপণনের বিস্তার হতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। যে সংস্থার কর্মসূচিতে এসেছেন কনসাল জেনারেল, সেই বাউল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সম্রাট চৌধুরী বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে বীরভূমের বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরবে বলে আমরা আশা রাখি।”