সিপিএমের আরও দুই পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মঙ্গলদা-মৌতড় পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে থাকা বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে দুই সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তখনই ১২ আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭, সিপিএমের ৫। শনিবার বিকেলে মৌতড় গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে ওই পঞ্চায়েতের আরও দুই সিপিএম সদস্য কৌশল্যা বাউরি এবং কার্তিক বাউরি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে এ বার তৃণমূল ১২টি আসনের মধ্য ৯টিরই দখল পেল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের চন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায় এবং উপ-প্রধান পরাণ বাউরিও তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই দু’জন এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি। তবে দলবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রাণীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ চাইছেন উন্নয়নের স্বার্থে আমরা তৃণমূলে যোগ দিই। আমি এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেবো না সে কথা বলছি না।’’ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরেই পুরুলিয়ায় বিরোধী দলগুলি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। রঘুনাথপুর ১ ব্লকের মঙ্গলদা-মৌতোড় পঞ্চায়েত এলাকা বরাবরই সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এ দিন ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরি বলেন, ‘‘তৃণমূলের পক্ষেই উন্নয়ন করা সম্ভব বুঝে বিরোধী দলের সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন।’’
অন্য দিকে, রবিবার বিকেলে হুড়া ব্লকের মাগুড়িয়ায় বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেয় শতাধিক পরিবার। একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম-সহ বিভিন্ন দল থেকে প্রায় শতাধিক পরিবার আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের কাজ দেখেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’