কুবিলপুরে বিধায়ক

সংবাদমাধ্যমে কুসংস্কার আর ওঝাগিরির কথা জানাজানি হতেই কুবিলপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন সাঁইথিয়ার সিপিএম বিধায়ক ধীরেন বাগদি। শুক্রবার সকালে সদলবলে ওই গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীর সঙ্কে সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৫৫
Share:

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন সাঁইথিয়ার সিপিএম বিধায়ক ধীরেন বাগদি। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

সংবাদমাধ্যমে কুসংস্কার আর ওঝাগিরির কথা জানাজানি হতেই কুবিলপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন সাঁইথিয়ার সিপিএম বিধায়ক ধীরেন বাগদি। শুক্রবার সকালে সদলবলে ওই গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীর সঙ্কে সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

Advertisement

ঘটনা হল, মহম্মদবাজারের কুবিলপুর পূর্ব পাড়ার অনেকেই আজকের দিনেও কুসংস্কারে আবদ্ধ। সেই কুসংস্কার থেকেই অনেকে গত কয়েক দিন ধরে সাপের আতঙ্কে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে প্রতিকারের জন্য ওঝার কাছেও যাচ্ছিলেন।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বিডিও ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দল নিয়ে গ্রামে হাজির হন। শুক্রবার সকালে হাজির হন সাঁইথিয়ার বিধায়ক ধীরেন বাগদি। আগের দিন বিডিও এবং চিকিৎসক দল গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে কুসংস্কার মুক্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েক জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসে চিকিৎসাও করান। ওই দিনই বিডিও-র পাশাপাশি তৃণমূলের অন্যতম মহম্মদবাজার ব্লক সভাপতি তাপস সিংহও ওই গ্রামে গিয়ে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। অসুস্থ ও আতঙ্কিত লোক জনকে বুঝিয়ে প্যাটেলনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান।

Advertisement

এ দিন ধীরেন বাগদি, মহম্মদবাজারের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবী বাগদি-সহ সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দলও ওই গ্রামে গিয়ে কুসংস্কার মুক্ত গ্রাম গড়ে তোলার আহব্বান জানান। যে কোনও ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে ধীরেনবাবু বলেন, ‘‘ওরা সরল মানুষ। কেউ কেউ ওদের ভুল বুঝিয়ে থাকতে পারেন। আমরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছি, শারীরিক কোনও সমস্যা হলে সব সময়ই যেন তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছে যান। বিধায়ক হিসেবে সব সময়ই ওদের পাশে আছি। আগামী দিনেও থাকব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement