বিষ্ণুপুরে সেলিম। নিজস্ব চিত্র
সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ধর্মঘটের দিন, শুক্রবার বিষ্ণুপুরে কর্মিসভা করতে এসে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার লুটের অভিযোগ তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘সরকারি কোষাগার লুট করছে তৃণমূল ও উচ্চপদস্থ আমলারা। ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) না পেলে সরকারি কর্মীরা বিক্ষোভ করবে না তো কী করবেন?’’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্বে তা মানতে চাননি।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এ দিন বিষ্ণুপুরের একটি সিনেমা হলে বৈঠক করেন সেলিম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য দেবলীনা হেমব্রম, অমিয় পাত্র, বাঁকুড়া জেলা কমিটির সম্পাদক অজিত পতি প্রমুখ। ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের অক্সিজেন দিতেই কি এই সভার আয়োজন? সেলিম বলেন, “অক্সিজেনের অভাব হচ্ছিল অনুব্রতের, আমাদের নয়। অক্সিজেনের অভাব হচ্ছিল তৃণমূলের মন্ত্রীদের, যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আমরা চাই পঞ্চায়েত থেকে লুটেরাদের তাড়িয়ে মানুষের হাতে পঞ্চায়েতের দখল দিতে। গ্রামের মানুষ সে জন্য টগবগ করে ফুটছেন।’’
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “সিপিএমের অস্তিত্বই নেই। তাই বিভিন্ন ব্লক থেকে দু’-চার জন করে নিয়ে এসে বিষ্ণুপুরে কর্মিসভা করতে হচ্ছে। মানুষের মনে শুধু তৃণমূল।’’