রামপুরহাটে সিপিএমের মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
পাথর থেকে রাজস্ব আদায়ের নামে কোটি কোটি টাকা লুট হচ্ছে এবং তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই লুটের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ সিপিএমের। সেই অভিযোগ তুলে পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে রাজস্ব আদায় বন্ধের দাবিতে শনিবার বিকেলে রামপুরহাটে মিছিল এবং সমাবেশ করল সিপিএম।
সিপিএমের দাবি, হাজার চারেক কর্মী, সমর্থক এ দিনের মিছিলে যোগ দেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন বীরভূম জেলা সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ, জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব মল্লিক প্রমুখ।
রামপুরহাট ডাকবাংলো মোড় সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে রামপুরহাটের পাঁচমাথা মোড়ে শেষ হয়। পাঁচমাথা মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনেই দাবি করেন, বগটুই কাণ্ড তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে। কিন্তু এর পরেও শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ সব্যসাচীর। বেআইনি রাজস্ব আদায় বন্ধের জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করেন সব্যসাচী। না হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
সায়ন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে সাগরদিঘি বিধানসভার মতো পরাস্ত করার দাবি তোলেন। সায়ন বলেন, ‘‘খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে দল পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছেন। লড়াইটা খুব কঠিন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে ভোট হওয়ার আগে তৃণমূল জেলা পরিষদ দখল করেছিল। এ বারে বীরভূমের মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৈরি। তাই চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। আমরাও প্রস্তুত।’’
যদিও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‘মানুষ ৩৪ বছরের সিপিএমের রাজত্ব দেখেছেন। মুর্শিদাবাদে একটু জল পেয়ে ওরা লাফাচ্ছে। সে গুড়ে বালি। পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করে দেখুক। মানুষ কার পক্ষে আছে সেটা বোঝা যাবে।’’