প্রতীকী ছবি
করোনা নিশ্চিত করার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট করার ব্যাপারে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ছাড়পত্র পেল সিউড়ি জেলা হাসপাতাল। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে শুরু হচ্ছে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তদের আক্রান্তদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা। বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘শনিবার বিকেলেই আইসিএমআরের অনুমোদন মিলেছে। রাজ্যের একমাত্র জেলা হাসপাতাল হিসাবে এই ছাড়পত্র পেল সিউড়ি।’’
জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে দিনে ৭০টির মতো টেস্ট হবে পরে সেটা বেড়ে ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছবে। তবে করোনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে জেলার স্বনির্ভর হওয়া ভীষণ ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের মতে, কলকাতার নাইসেড বা দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতাল লালারসের নমুনা পাঠিয়ে সেই রিপোর্টে পেতে অনেকটা সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। সেখানে একদিনের মধ্যেই সিউড়ি থেকে সেই রিপোর্ট মিলবে।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে ক্রমশ সংক্রমণ বাড়বে। তাই আরও বেশি সংখ্যক টেস্টের প্রয়োজনীয়তা বুঝেই সিউড়ি জেলা হাসপাতালে করোনা সন্দেহভাজনদের লালারস পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপরতা শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। দিন পনেরো আগে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিতকরণে ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র বসানো হয়েছিল। জেলা হাসপাতালের চিকিতসকদের কথায়, ‘‘ওই যন্ত্র করোনাভাইরাস গ্রুপকে চিহ্নিত করতে পারে। ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করার প্রশ্নে র্যাপিড কিটের তুলনায় এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক বেশি। তবে লালারসের নমুনায় কোভিডের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হলে আরটি-পিসিআরের টেস্ট আবশ্যক ছিল।’’ দিন কয়েক আগে সব যন্ত্রাংশ চলে আসায় আরটি-পিসিআর টেস্ট করার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল। বাকি ছিল আইসিএমআরের ছাড়পত্র। শুক্রবার সফল টেস্ট করার পর সেই ছাড় পত্রও মিলল।