এসে গিয়েছে ভ্যাকসিন। নলহাটিতে। ছবি: তন্ময় দত্ত।
প্রতীক্ষার অবসান। আজ, শনিবার সকাল থেকে জেলায় শুরু হচ্ছে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান। সেই মতো বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় প্রস্তুতি প্রায় সারা। ইতিমধ্যে জেলার বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা থেকে জেলার মোট ১২টি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রে পুলিশি সুরক্ষা ব্যবস্থায় ভ্যাকসিন পৌছে গিয়েছে। এবং ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রগুলিতেও পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-সহ নানা গুজব রুখতে প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্রে থাকবে একটি করে ‘রিউমার রেজিস্টার’।
প্রতিষেধক নিয়ে গুজব যদি রটে, সেটা ঠিক কী ধরনের, কোথা থেকে ছড়াচ্ছে, সেটা বিবেচনা করা এবং নির্দিষ্ট এলাকায় ছড়িয়ে যাওয়া গুজব রুখতেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। যাতে প্রয়োজনে গুজব বা অজ্ঞতার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে পারেন স্বাস্থ্যকর্তারা। প্রতিষেধক ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা এইএফআই (অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন) সংক্রান্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য থাকছেন এক জন মেডিক্যাল অফিসার। তাঁর বাইরে প্রতিষেধক নিয়ে অন্য
কেউ প্রতিক্রিয়া দেবেন না। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা বলছেন, ‘‘প্রতিষেধক দেওয়ার পরবর্তী ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু সমস্যা থাকতে পারে। সেগুলি কী কী, তা নিয়ে প্রচার চলছে। তার পরেও কেউ যাতে গুজব না ছড়ান, সেটা নিশ্চিত করতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই পদক্ষেপ।’’
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান, এই স্বাস্থ্যজেলায় মোট ৭ টি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র করা হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রে দু’টি করে শয্যা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং সিউড়ি সদর হাসপাতালে আলাদা করে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৃথক ভাবে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।