অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে গাছ ও পুষ্টিকর খাদ্য। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-পর্বে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বার ছেলের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান না করে সেই টাকায় অপুষ্ট শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের দম্পতি অঙ্কিতা রায় ও অমিত চন্দ্র।
পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক তামসী কোলের সহায়তায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের চরম অপুষ্টিতে ভোগা (লাল চিহ্নিত) শিশুদের পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ। সঙ্গে নতুন জামা ও কিচেন গার্ডেন তৈরির জন্য এক প্যাকেট করে আনাজের বীজ দেওয়া হচ্ছে। পুরো খরচ বহন করছেন ওই দম্পতি।
শুক্রবার থেকে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের বাড়িতে সুজি, ছাতু, সয়াবিন, ডিমের সঙ্গে ‘মাস্ক’, সাবান ও নতুন জামা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।অঙ্কিতাদেবী জানান, ছেলে অদ্বিকের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান করার বদলে দুঃস্থ বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যোগাযোগ হয় তামসীদেবীর সঙ্গে। অঙ্কিতাদেবীর কথায়, ‘‘উনিই প্রস্তাব দেন রঘুনাথপুরে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে। তার পরে আর বিন্দুমাত্র ভাবিনি।’’ তবে এই পরিস্থিতিতে শিশুপুত্রকে নিয়ে রঘুনাথপুরে আসা সম্ভব হয়নি দম্পতির। পুরো কাজটাই করছেন সংস্থার সদস্যরা।
রঘুনাথপুর ১ ব্লকে ‘লাল’ বাচ্চার সংখ্যা ৯৬টি। তামসীদেবী জানান, নিজের দফতরের কাজ করতে গিয়েই শুনেছিলেন, চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পরিবারের আর্থিক সমস্যার কথা। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছে বটে। তবে আরও একটু পুষ্টিকর খাবার দিলে সুবিধা হবে ওই পরিবারগুলির। সেই ভাবনা থেকে এই কাজ করার কথা ওঁদের জানাই।’’