জেলায় ফেরা শ্রমিকদের দূরে দূরে দাঁড় করাতে গণ্ডি কাটা হচ্ছে বাঁকুড়া স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসন আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বেঙ্গালুরু থেকে জেলার শ্রমিকদের নিয়ে রবিবার ট্রেন এল না। ডিআরএম (আদ্রা) নবীন কুমার রবিবার বিকেলে বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন পুরুলিয়া স্টেশনে আসছে বলে কোনও বিজ্ঞপ্তি আসেনি। তবে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি ট্রেন বাঁকুড়া স্টেশনে আসবে বলে বিজ্ঞপ্তি এসেছে।’’
রেল সূত্রের খবর, সোমবার বেলার দিকে ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে ছাড়ার কথা। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার বিকেলে ট্রেনটি বাঁকুড়া স্টেশনে পৌঁছতে পারে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়াতেই নির্ধারিত দিনে পৌঁছতে পারেনি। তবে শ্রমিকেরা এলেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর ছিল, রবিবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া স্টেশনে বেঙ্গালুরু থেকে আশপাশের জেলার শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন আসার কথা। জানানো হয়েছিল, ট্রেনে বাঁকুড়া স্টেশনে বাঁকুড়া জেলার ১,৩৪৭ জন ও ঝাড়গ্রাম জেলার ৫২৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের নামার কথা। পুরুলিয়া স্টেশনেও একটি ট্রেনের আসার কথা ছিল। তাতে পুরুলিয়া জেলার ১২৪৪, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১৯৬ ও বীরভূম জেলার ৫৯০ জনের আসার কথা।
সে জন্য দুই জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও রেল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে পুরুলিয়া স্টেশনে গিয়ে সরেজমিনে প্রস্তুতি পর্ব দেখেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত। স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে তাঁরা পুরুলিয়া স্টেশনের রেলের আধিকারিক এবং আরপিএফের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রশাসন ও রেল সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পুরুলিয়া স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বেঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটিকে থামানো হবে। সেখানেই পনেরোটি টেবিল রেখে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। কারও উপসর্গ থাকলে হাতোয়াড়াতে প্রশাসনিক কোয়রান্টিনে পাঠানোর কথা। বাকিদের বাড়িতে নিভৃতবাসে পাঠানো হবে। শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সত্তরটি বাসেরও ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রস্তুতি নেওয়া রইল। শ্রমিকদের আসার খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’