ব্যস্ত: চলছে ১০০ দিনের কাজ। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের ফলে এখন অধিকাংশ মানুষই কর্মহীন। এলাকার মানুষকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মুরারই ১ ব্লক ১০০ দিনের কাজের ওপর জোর দিয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এই কাজ শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে। মাস্ক পরে কাজে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চাতরা, ডুমুড়গ্রাম, মুরারই ছাড়াও চারটি পঞ্চায়েতে ৮৭টি প্রকল্পে ৫০৬১ জন শ্রমিক ১০০ দিনের কাজ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জেলায় আবেদন পাঠানো হয়েছে। লকডাউনের ফলে এলাকার মানুষজনের কাছে কোনও কাজ ছিল না। ১০০ দিনের কাজে অনেক শ্রমিক আবারও রোজগারের দিশা দেখছেন।
মুরারইয়ের পলশা পঞ্চায়েতের সাগর ভুইমালি, অসিত মাল ও রাজু দাসরা বলেন, "আমরা দু’মাস ধরে ঘরেই ছিলাম। কাজ ছিল না। এখন পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া ১০০ দিনের কাজে মাটি কাটছি। সাত দিন কাজ পাচ্ছি। বলা হয়েছে, কাজ শেষ হলে ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকে যাবে। এর ফলে এই লকডাউনের মধ্যে দোকানে-বাজারে যে ধার হয়েছিল তা শোধ করতে পারব।’’
মুরারই ১-এর বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, "আমরা ১০০ দিনের কাজে প্রত্যেক সংসদে অল্প অল্প করে শ্রমিককে দিয়ে কাজ করাচ্ছি। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড নেই তাঁদের আবেদন করতে বলেছি। তাঁদেরও ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত করা হবে। ব্লকের অধীনে সমস্ত পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছে এলকায় অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন আবার অনেকের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। তাঁদের জবকার্ড থেকে নাম বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা বানানোর জন্য।"