The EID

ইদের আগে ধীরে ধীরে পেশায় ফিরছেন দর্জিরা

মুরারই শহরে দর্জির দোকান আছে শতাধিক। দোকানের সঙ্গে যুক্ত হাজারেরও বেশি কারিগর আছেন

Advertisement

তন্ময় দত্ত

মুরারই শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৩:৫১
Share:

ব্যস্ত: মুরারইয়ে একটি দর্জির দোকানে। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন একটু শিথিল হওয়ায় দর্জিরা কাজ শুরু করেছেন একটু একটু করে। তার জেরেই ক্ষীণ হলেও আশা দেখছেন পেশার সঙ্গে যুক্ত অনেকে।

Advertisement

মুরারই শহরে দর্জির দোকান আছে শতাধিক। দোকানের সঙ্গে যুক্ত হাজারেরও বেশি কারিগর আছেন। লকডাউনের জেরে দু’মাস ধরে সকলেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে দোরগোড়ায় ইদ। এই সময় সেলাই মেশিন থেকে মাথা তোলার সময় পান না দর্জির দোকানের কারিগরেরা। এ বার অবশ্য বাজার অনেকটাই মন্দা। তাতেও দোকান খুলতেই জামা, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানির বরাত মন্দ আসছে না বলেই খুশি দর্জিরা।

গলায় মাপ নেওয়ার ফিতে আর কানে পেন্সিল গুঁজে থান কাপড়ে কাঁচি চালাতে চালাতে কারিগরেরা জানান, লকডাউনের ফলে দোকান প্রায় ৫৪ দিন বন্ধ ছিল। সেলাই মেশিনও জবাব দিয়েছে এতদিন বন্ধ থাকার ফলে। সেগুলো সারিয়ে কাজ শুরু হয়েছে সবে। লকডাউনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোকানের অনেক কারিগরই পেটের তাগিদে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন। কেউ চাষের কাজ আবার কেউ নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছেন। এর মধ্যে দোকান ভাড়াও দিতে হয়েছে। এখন লকডাউন শিথিল হওয়ায় দিন রাত জেগে কাজ শুরু হয়েছে। একটি প্যান্ট বানানোর মজুরি তিনশো টাকা ও জামার মজুরি অবশ্য দুশো টাকাই আছে আগের মতো।

Advertisement

স্থানীয় দর্জি আনারুল শেখ বলেন, ‘‘আমার বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার। বাবার ওষুধ থেকে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছিলাম না। ইদের বাজারে মাত্র দশটা জামা প্যান্ট তৈরির বরাত পেয়েছি। সেটাই মনে হচ্ছে এখন অনেক। প্রশাসনের কাছে আবেদন করব আমাদের এই দুর্দশার কথা ভেবে দর্জিদের ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তাতে ব্যবসাটাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করতে পারি।’’

মুরারই ১-এর বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, "লকডাউনের ফলে দর্জিদের খুব কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। তাঁদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement