মহম্মদবাজারে পুলিশের তৎপরতা। ছবি: পাপাই বাগদি
নাগাড়ে বৃষ্টি আর জেলা পুলিশ, প্রশাসনের নজরবন্দিতে জেলায় পরপর দু’দিনের লকডাউনে পথঘাট রইল শুনশান। তবে বিধিভঙ্গের বিবিধ অভিযোগে জেলা থেকে মোট ৭৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লকডাউন অমান্য করায় সিউড়ির চার থানা এলাকা থেকে শুক্রবার আটক করা হয়েছে ৮৬ জনকে। এ দিন সকাল থেকে শহরের জায়াগায় জায়গায় পুলিশের পক্ষ থেকে চেকিং করা হয়। রাস্তা বেরোলে পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা ঠিক কারণ জানাতে পেরেছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়। বহু গাড়ি এবং মোটরসাইকেল আটক করা হয়। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘‘লকডাউন সার্থক করতে দুদিন ধরেই পুলিশের অভিযান চলেছে।’’
মহম্মদবাজারেও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ড ও জনবহুল এলাকায় নজরদারি চালানো হয়। যাতে লকডাউন উপেক্ষা করে এলাকার কোনও মানুষ বিনা কারণে বাড়ি থেকে না বের হন। মাইক নিয়েও প্রচার করা হয়। তার পরেও যে সমস্ত মানুষ রাস্তায় ছিলেন তাঁদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রামপুরহাট, মুরারই এলাকায় এমনিতেই আক্রান্তের সংখ্যা বহু। তার পরেও বহু মানুষকে সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পথে মাস্ক ছাড়া চলতে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, মুরারই ১ ব্লকে ১১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিডিও (মুরারই ১) নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেক দিন অভিযান চালানো হচ্ছে। মানুষজনকেও সতর্ক হতে হবে।’’