প্রতীকী-ছবি
২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো তাঁদের পক্ষে অসম্ভব বলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিলেন বাস মালিকরা। শুক্রবার ওই বৈঠকে তাঁরা জানান, সরকার চাইলে বাস তুলে নিয়ে চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। সিউড়িতে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবহণ আধিকারিক মৃন্ময় মজুমদার, বোর্ড মেম্বার গগন সরকার এবং একাধিক বাস মালিক সংগঠনের সদস্যরা এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
বাস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তাঁরা বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ জ্বালানি খরচ, টায়ার ভাড়া, চালক ও কন্ডাক্টরদের বেতন দিতে যা খরচ হবে বাস চালিয়ে সেই টাকা তোলা মুশকিল।
এ ছাড়া বাস চালাতে গেলে বিমা ও ট্যাক্সের টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু অনেক বাস মালিকের কাছে সেই টাকাও নেই। সেই সঙ্গে তাঁরা জানান, বাসে ১৯ জন হয়ে যাওয়ার পরে কোনও তিন জনের পরিবার এলে সবাইকে তোলা সম্ভব নয়। আবার তুললে অন্য যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পার। এ সবই ভাবতে হয়েছে।
বৈঠকে বাস মালিকরা তাঁদের এই সমস্ত সমস্যার কথা জানান এবং বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্তত কিছু সংখ্যক বাস চালানোর জন্য বলা হলে বাস মালিকরা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রাখেন যে, সরকার চাইলে প্রয়োজন মত বাস তুলে নিতে পারে। যেমনটা ভোটের সময় নেওয়া হয়ে থাকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সমস্ত আলোচনাই নথিভুক্ত করে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আব্দুল আজিম বলেন, ‘‘এই শর্তে বাস আমরা চালাতে পারব না। তাই প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রেখেছি ভোটের সময় যেভাবে বাস নেওয়া হয়ে থাকে সরকার চাইলে সেইভাবে বাস নিতে পারে।’’ জেলা প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য সরাসরি কিছু বলতে চান নি। এক কর্তা বলেন, ‘‘যা আলোচনা হয়েছে তার বিষয়বস্তু নথিবদ্ধ করে পাঠিয়েছি।’’
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছিল গ্রিন জ়োনে থাকা জেলাগুলিতে সোমবার থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই জেলায় তিনজনের করোনা ধরা পরার পর আদৌ জেলা গ্রিন জ়োনে রয়েছে কি না তা নিয়েই নানা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহকে বাস চলাচল প্রসঙ্গে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি সরাসরি সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘সরকারি কোনও নির্দেশ নেই। নির্দেশে লকডাউন বলা ছিল লকডাউনই বলা আছে।’’