পুরুিলয়া শহরের পথে পুলিশ সুপার। ছবি: সুজিত মাহাতো
লকডাউন মানাতে কড়া অবস্থানই বজায় রাখছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। অকারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে মঙ্গলবার ১৯ জনকে গ্রেফতারের পরে, বুধবার সন্ধ্যায় আরও আট জনকে ধরল পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে জটলা করার অভিযোগেই এই আট জনকে ধরা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের অলঙ্গিডাঙা মোড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অলঙ্গিডাঙা মোড় এলাকায় কয়েকজন জটলা করছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন, যাতে সমাজে প্রভাব পড়তে পারে। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি মোটরবাইক ও তিনটি টোটো আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মফস্সল ও গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনেকাংশ ‘লকডাউন’ মেনে চললেও সকাল ও বিকেলে শহরে মানুষজনের থিকথিকে ভিড় কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। প্রথমে সকালের দিকে কেবল বাজারের সময়ে মানুষজন ঘর থেকে বেরোলেও, দিন-দিন এই সময়সীমা বাড়ছিল। কিছু মোড়ে চায়ের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কচুরি-তেলেভাজার দোকানের দরজা আংশিক খোলা থাকায় সেখানে ভিড়ও জমছে।
শহরের রাস্তায় পুলিশের তরফে একাধিক বার মাইকে ঘোষণা করেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই মাঠে নামেন পুলিশ-কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, ডিএসপি (ট্র্যাফিক) দুর্লভ সরকার, সিআই (সদর) উত্তম মণ্ডল প্রমুখ বাহিনী নিয়ে রাস্তায় নামছেন। পুলিশ-কর্তাদের মুখোমুখি পড়ে আমতা-আমতা করেছেন বাইরে বের হওয়া লোকজন।
রবিবার রাতে ‘অকাল দীপাবলি’-র পরদিন, সোমবার পুরুলিয়া শহরের রাস্তায় থিকথিকে ভিড় দেখে প্রমাদ গনেছিলেন পুলিশ-কর্তারা। তার পর থেকেই সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। ফলও মিলেছে। বৃহস্পতিবার শহরের রাস্তাঘাট ছিল তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা। তবে এ দিনও কিছু এলাকায় জটলা দেখে পথে নামেন পুলিশ সুপার।
এত গ্রেফতারির পরেও লোকে কেন অকারণে রাস্তায় বার হচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীর একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, ধরপাকড়ের পরেও রাস্তায় জটলা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)