ছবি রয়টার্স
শিলিগুড়ি থেকে ২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে একটি বাস সোমবার সকালে বিষ্ণুপুরে পৌঁছেছে। প্রায় একই সময়ে ধানবাদ থেকে একটি বাসে বিষ্ণুপুর এসে পৌঁছন চার জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “সোমবার সকালে মোট ৩০ জন ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকের লালারস সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। এখন থেকে প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও লালারস সংগ্রহ করা হবে।”
এ দিকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে ওই ৩০ জন শ্রমিককে ১৪ দিন গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফিরছেন। থার্মাল স্ক্রিনিং শেষে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরেই তাঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে।”
বিষ্ণুপুর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। ভিন্ রাজ্য থেকে যাত্রীদের নিয়ে আসা বাসগুলি সাময়িক ভাবে ওই রাস্তায় রাখা হচ্ছে। দিনরাত সেখানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এ দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একের পরে এক বাস বিষ্ণুপুরে ঢোকায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণের মধ্যে। যদিও প্রশাসনের তরফে তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, সতর্কতা ও নিরাপত্তা মেনেই ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো হচ্ছে। সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। লকডাউন বিধিও যাতে সকলে মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শহরের বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন বিধি উড়িয়ে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে চায়ের দোকান, সেলুন, মিষ্টির দোকান। সেখানে মানুষের ভিড় হচ্ছে। রবীন্দ্র স্ট্যাচু, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন চত্বরে অনেক দোকানই খোলা থাকছে বলে দাবি। পুলিশের বক্তব্য, লকডাউন কার্যকর করানোর জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা সবই নেওয়া হয়েছে। বাহিনী টহল দিচ্ছে সবসময়। তবে পুলিশকর্মীর সংখ্যা পর্যাপ্ত না হওয়ায় সব জায়গায় স্থায়ী ভাবে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়।