কড়া: বিষ্ণুপুরের চকবাজারের কাছে পুলিশের ধমক। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’ মেনে চলায় বাধ্য করতে কড়া হাতে হাল ধরছে পুলিশ। রাস্তায় অহেতুক দাঁড়িয়ে জটলা করার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া সদর থানা। সঙ্গে চারটি মোটরবাইক আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে এই ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের চাইবাসা রোডের বড়হাট মোড় ও সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারে বেশ কিছু লোকজন জটলা করছিলেন বলে অভিযোগ। লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এ ভাবে কেন তাঁরা জটলা করছেন, জানতে চাওয়া হলে সদুত্তর দিতে পারেননি বলে পুলিশের দাবি। সেখানে যাঁরা ছিলেন সবাইকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১০টা বা ১১টা পর্যন্ত শহরের রাস্তায় বেরোলে বোঝার উপায় নেই লকডাউন চলছে। যে দোকান খোলার কথা নয়, দিব্যি তা-ও খোলা রয়েছে। মিষ্টির দোকান খোলার কথা দুপুর ১২টা থেকে। দেখা যাচ্ছে, সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পাড়ায় খুলে যাচ্ছে মিষ্টির দোকান। মোড়ে মোড়ে চা দোকানে চলছে জটলা। বাসিন্দাদের অনেকের দাবি, বেশির ভাগ দিনই পুলিশ টহল দিতে বেরোচ্ছে বেলা সাড়ে ১০টার পরে। বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বুধবার হুচুকপাড়ার এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এই ভিড় যথেষ্ট। কোথায় সামাজিক দূরত্ব? সকাল থেকে থিকথিক করছে ভিড়।’’
সেই ভিড় অবশ্য পুরোপুরি উধাও হয়ে যাচ্ছে দুপুরের আগেই। শহরবাসীর বক্তব্য, পুলিশ যদি সকালেই এলাকাগুলিতে টহল চালায়, তা হলেই ভিড় কমবে। বুধবার কাশীপুরে পথে নামেন এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ওসি শ্রীকান্ত মূলা। অকারণে যেন মানুষ বাইরে না বেরোন, এই আবেদন করে বাহিনী নিয়ে কাশীপুরে টহল দেন তাঁরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)