করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য ফের বন্ধ হচ্ছে তারাপীঠ মন্দিরের দরজা।
১ অগস্ট, শনিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তারাপীঠ মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি। মাঝে ২৩ জুন থেকে এক মাস সাত দিন দর্শনার্থীদের জন্য খোলা ছিল মন্দির। সংক্রমণের এড়াতে ফের বন্ধ করার ঘোষণা হল। বৃহস্পতিবার সকালে সেই সিদ্ধান্ত নোটিস আকারে মন্দির চত্ত্বরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেবায়েত ছাড়া অন্য কারও মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ বলেও জানানো হয়েছে।
করোনা আবহে ভিড় এড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছরের কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১৩ জুলাই রামপুরহাট মহকুমাশাসকের সভাকক্ষে পুলিশ সুপার, জেলাশাসক সহ প্রশাসনের অন্য দফতরের প্রতিনিধি, মন্দির কমিটি, তারাপীঠ লজ মালিক সমিতি, শ্মশান কমিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কেননা, কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় হয়। এই বছর তিথি অনুসারে ১৭ এবং ১৮ অগস্ট কৌশিকী অমাবস্যা।
মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় এবং সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আশপাশ এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত আসায় মন্দিরেও সংক্রমণের আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সেবায়েতদের সকলের সম্মতি নিয়ে ১ অগস্ট থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ করোনা পরিস্থিতিতে তারাপীঠ মন্দির ২০ মার্চ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল। ২৩ জুন রথের দিন মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়। মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করানোর জন্য তিন প্রবেশ দ্বারে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানো হয়। দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য গর্ভগৃহে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। গোলাকার বৃত্ত করে দর্শনার্থীদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। গর্ভগৃহের সামনে বাঁশ বেধে দেওয়া হয়।
এ সবের পরেও মন্দির চত্ত্বরে দর্শনার্থীদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা কমিটির পক্ষে মুশকিল হয়ে উঠছিল। স্যানিটাইজার ট্যানেল মাঝেমাঝেই খারাপ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)