প্রতীকী ছবি।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ফিভার আইসোলশন বিভাগে শনিবার গভীর রাতে মৃত পঞ্জাবের যুবকের লালারসের দ্বিতীয় পরীক্ষার রিপোর্টও করোনা নেগেটিভ এসেছে। এর ফলে স্বস্তিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত যুবকের পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রামপুরহাট মেডিক্যালের সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি জানান, মৃতের ভাই পরিচয় দিয়ে এক যুবক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আদৌ তিনি ভাই কিনা, তা সঠিক ভাবে জানার চেষ্টা চলছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ স্বপন কুমার ওঝা জানান, নাইসেড থেকে রবিবার রাতে মৃতের দ্বিতীয় রিপোর্ট পৌঁছেছে। সেটিও নেগেটিভ।
পঞ্জাব থেকে আসা ওই যুবক গম কাটা যন্ত্রের অপারেটর ছিলেন। লকডাউনের আগে তিঐ যুবক বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল হয়ে বীরভূমের মুরারই থানার রতনপুর এলাকায় গম কাটতে এসেছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে প্রথমে মুরারই ১ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে রামপুরহাট মেডিক্যালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৩ এপ্রিল যুবকটির জিভ ও নাক থেকে লালারস পরীক্ষা করার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়। প্রথম রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। পরে বুকের পরীক্ষায় টিবি ধরা পড়ায় তাঁকে করোনা আইসোলেশন বিভাগ থেকে সরিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ফিভার আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছিল। শনিবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। তাঁর ফুসফুসে টিবি মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছে। যুবকটির দেহ আপাতত হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
মৃত যুবকের দাদা পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বুধবার বলেন, ‘‘আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার দিকনগরে কাজ করছিলাম। ভাই যে গম কাটার মেশিন চালাত, তার মালিকের কাছ ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে কোনও ভাবে রামপুরহাট মেডিক্যালে পৌঁছই।’’ তিনি জানান, পঞ্জাবের বাড়িতে মৃত যুবকের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। লকডাউনে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া সমস্যা। সময়ও লাগবে। তাই এখানেই দেহ দাহ করার ইচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘ভাইয়ের তেমন কোনও রোগ ছিল না। কী ভাবে কী হল বুঝতে পারছি না।’’