Coronavirus in West Bengal

টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে ত্রাণে দান

বৃহস্পতিবার বেলায় বাবার সঙ্গে ব্লক কার্যালয়ে এসেছিল জয়পুর হাইস্কুলের ছাত্র সূর্য। সেখানে বিডিও-র হাতে সে এক হাজার টাকার ‘ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট’ তুলে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০৯
Share:

ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র

বাবার ছোট একটি পানের দোকান রয়েছে। সামান্য রোজগার থেকে রোজ ছেলেকে স্কুলের টিফিন খরচ বাবদ দু’-পাঁচ টাকা দিতেন বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দা সুজন ভৌমিক। সেই টাকা খরচ না করে সঞ্চয় করত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সূর্য। সেই সঞ্চয় থেকে বৃহস্পতিবার এক হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল ওই ছাত্র। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সূর্যের ভূমিকা অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মন্তব্য করছেন বিডিও (জয়পুর) বিট্টু ভৌমিক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বেলায় বাবার সঙ্গে ব্লক কার্যালয়ে এসেছিল জয়পুর হাইস্কুলের ছাত্র সূর্য। সেখানে বিডিও-র হাতে সে এক হাজার টাকার ‘ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট’ তুলে দেয়।

সূর্যের কথায়, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম, এই ক’টা টাকা কি দেওয়া যাবে? পরে মনে হল, আমার মতো হাজারজন ছাত্র দিলেই তো অনেক টাকা হতে পারে। এই সব চিন্তা করে বাবাকে ইচ্ছার কথা বলি। তার পরে বাবাকে নিয়ে ব্লক অফিসে যাই।’’ বিডিও বলেন, “ত্রাণে ‘ছোট-বড়’ বলে কিছু হয় না। সূর্যের উদ্যোগ অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’

Advertisement

ময়নাপুরগামী রাস্তার পাশে সূর্যের বাবার পানের গুমটি রয়েছে। লকডাউন-এর জেরে গত এক মাস ধরে সেটি বন্ধ। বাড়িতে অর্থের অভাব রয়েছে। অভাবের সংসারে বড় হওয়া সূর্যের এই কাজে খুশি তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক চণ্ডীচরণ কর্মকার। তাঁর কথায়, ‘‘অভাবের সংসারে বড় হয়েও ও যে কাজ করেছে, তাতে আমরা গর্বিত। নৈতিক বোধ থাকলে এই কাজ করা যায়। এটাই তো আমরা ছাত্রছাত্রীদের থেকে প্রত্যাশা করি।’’

সূর্য জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার ইচ্ছার কথা প্রথমে সে ভয়ে বাড়ির কাউকে বলার সাহস পায়নি। পরে সাহস সঞ্চয় করে বাবাকে নিজের ইচ্ছার কথা জানায় সে। বাবার অনুমতি পেতে সময় লাগেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement