প্রতীকী ছবি
জেলায় এল র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট। বুধবার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই কিট সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমার জন্য বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বীরভূমে মোট ১৯৬০ কিট এসেছে। সেই কিট জেলার দুই স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে দু’ভাগে ভাগ করে বিতরণ করা হয়েছে। তবে কিট এসে পৌঁছলেও তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে এখনও খোলা হয়নি।
জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই কিট ব্যবহার করা যাবে না। তাই কিট জেলার দুই স্বাস্থ্য জেলাতেই আপাতত তালাবন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে।
তবে এরই মাঝে কিটের ব্যবহার নিয়ে জেলার দুই স্বাস্থ্য জেলার ল্যাব টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের মাধ্যমে আঙুলে ছুঁচ ফুটিয়ে একসঙ্গে ৫০ জনের পরীক্ষা করা যাবে। সেক্ষেত্রে যদি কারও দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়, তখন তাঁর দেহের নাক ও জিভ থেকে দু’ধরনের লালারস পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হবে। নাইসেড থেকে পজিটিভ রিপোর্ট মিললে তখন তাঁকে করোনা আক্রান্ত বলা যাবে।
র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য জেলার অধীন ল্যাব টেকনিসিয়ানদের দু'দিনের প্রশিক্ষণ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হবে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার এবং শনিবার দু'দিনের ব্যাচে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাটের একটি নার্সিংহোমের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনের এবং রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ফিভার আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন এক জনের, মোট তিন জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার নাইসেডে পাঠানো হয়েছে বলে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নিজস্ব ঘরে নিভৃতবাসে ১৫০০ জন আছেন। আর বিভিন্ন সরকারি নিভৃতবাসে ১৪৩ জন আছেন।