COVID-19

কোভিড প্রাণ কাড়ল পুলিশ আধিকারিকের

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , বোলপুর শহরের ত্রিশূলাপট্টি এলাকার বাসিন্দা ভবেশবাবু ৮-১০ দিন ধরে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন। কয়েক দিন আগে তার শারীরিক সমস্যা বাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০০:৪৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন জেলার একের পর এক পুলিশকর্মী। এ বার মৃত্যুও হল এক পুলিশ আধিকারিকের। বীরভূমে এই প্রথম। মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে মারা যান বোলপুর আদালতের জেনারেল রেজিস্টার্ড অফিসার (জিআরও) বা কোর্ট অফিসার ভবেশচন্দ্র দাস (৫৯)। দুর্গাপুজোর ঠিক মুখে এই আধিকারিকের মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে জেলার পুলিশ থেকে স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তাদের। কারণ, চতুর্থী থেকেই রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়া শুরু হয়েছে। পুলিশকর্মীদেরই পথে নেমে সেই ভিড় সামাল দিতে হচ্ছে। ফলে, তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি।

Advertisement

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , বোলপুর শহরের ত্রিশূলাপট্টি এলাকার বাসিন্দা ভবেশবাবু ৮-১০ দিন ধরে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন। কয়েক দিন আগে তার শারীরিক সমস্যা বাড়েয়। তাঁকে ক’দিন আগে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিনই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পর ভবেশবাবুকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো হোম আইসোলেশনে রাখা হয়। বাড়িতে দিন চারেক ভাল থাকার পর ফের রবিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সে দিনই তাঁকে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে তাঁর শারীরি অবস্থার আরও অবনতি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয় ভবেশবাবুর।

পুলিশ সূত্রের খবর, বীরভূমের ৯২ জন এবং বাইরে থেকে এই জেলায় আসা ১৬ জন মিলিয়ে মোট ১০৮ জন পুলিশকর্মী নানা সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন সক্রিয় রোগী। বাকিরা সুস্থ হয়ে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। অনেক কাজেও যোগ দিয়েছেন। করোনা সক্রিয় ১২ জন পুলিশকর্মী বর্তমানে কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

Advertisement

জেলায় করোনা

মোট আক্রান্ত : ৫৩৬১
• অ্যাক্টিভ রোগী: ৭১৩
• ছাড়া পেয়েছেন: ৪৬০৪
• মৃত: ৪৪

নতুন করে

• আক্রান্ত: ৯১
• ছাড়া পেয়েছেন: ৬৮

** মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত বুলেটিনে।
(সূত্র: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর)

মঙ্গলবার যে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি এই ১২ জনেরই এক জন। মৃতের ছেলে এ দিন বলেন, ‘‘সোমবার রাতে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়। তখনই বাবা আমাকে বলছিল, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে চল’। তার পর আর বাবার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। এ দিন হাসপাতাল থেকে দুঃসংবাদ আসে।’’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ দিন সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া মেনে ভবেশবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বীরভূম জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement