Shantiniketan

বিদেশ ফেরতের বাড়ির সামনে বেড়া পড়শিদের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজপল্লির এক বাসিন্দা ২১শে এপ্রিল রাতে কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়িতে ফেরেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪৮
Share:

বন্ধ: বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা হয়ে বিদেশ থেকে শান্তিনিকেতন ফেরা এক বাসিন্দার বাড়ির সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির ঘরবন্দি থাকা উচিত হলেও তাঁর বাড়িতে মিস্ত্রিদের আনাগোনা চলছিল। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা রাস্তা আটকে দেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজপল্লির এক বাসিন্দা ২১শে এপ্রিল রাতে কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়িতে ফেরেন। ২২ তারিখ বিকেল নাগাদ প্রতিবেশীরা তার বাড়ির প্রবেশ পথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ও লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে নিভৃতবাসে থাকতে বলে। একইসঙ্গে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত বাড়িতে পরিচারিকা বা রাজমিস্ত্রিদের প্রবেশও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে বলা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি লকডাউন এর কয়েকদিন আগেই কানাডা থেকে কলকাতায় ফেরেন। ২১ তারিখ কলকাতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তারপর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েই তিনি শান্তিনিকেতন ফেরেন। শান্তিনিকেতনে ফেরার পর পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে সিয়ানের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অসুস্থতার কোনও লক্ষণ পাওয়া না গেলেও তাঁকে নিভৃতবাসেই থাকতে বলা হয়। পড়শিদের অবশ্য অভিযোগ, তিনি নিজে গৃহবন্দি থাকলেও তাঁর বাড়িতে মিস্ত্রিদের আনাগোনা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দা পারমিতা রায় বলেন, “উনি বাইরে থেকে শান্তিনিকেতনে ফিরেছেন। ফেরার পর তাঁর শারীরিক কোনও সমস্যা আছে কি না আমাদের জানা নেই। তারই মধ্যে তাঁর বাড়িতে পরিচারিকা ও রাজমিস্ত্রিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন বোধ করছিলাম। তাই ওঁর বাড়ির পথ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

প্রতিবেশীদের তরফ থেকে স্থানীয় থানাকে দেওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাসিন্দাদের অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement