প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই কথা প্রথম থেকেই বলে আসা হচ্ছে। কারণ করোনা ভাইরাস মানুষের নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি হলে, ওই ভাইরাস বাতাসে ড্রপলেটের মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য ভেসে থাকে। সেই সময় কোনও সুস্থ মানুষ ওই জায়গায় গেলে তাহলে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ওই মারণ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে যাবে। তখন ওই সুস্থ ব্যক্তিও করোনা আক্রান্ত হয়ে যাবেন। তাই চিকিৎসকরা বারবার বলে থাকেন বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য।
বাড়িতে যদি বেশি লোকের যাতায়াত থাকে তাহলে বাড়িতেও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যাতে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। কেবলমাত্র মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত স্যানিটাইজ করা ও দূরত্ব বিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণের হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। তবে মাস্ক পরার কিছু নিয়ম আছে। কিন্তু অনেকেই সেই নিয়ম মানেন না। যেমন, কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করলে তা ত্রিস্তরীয় হওয়া বাধ্যতামূলক। অন্যথা ওই মাস্ক ভাইরাস আটকাতে পারবে না। এছাড়া সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন ৯৫ জাতীয় মাস্ক ব্যবহার করলে তা একবার ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে, কাপড়ের মাস্ক হলে তা প্রতিদিন ভালভাবে সাবান দিয়ে কেচে, শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ভিজে বা নোংরা মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। তাতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে একটা জিনিস এখন খুব দেখা যায়, মাস্ক নাকের নীচে বা থুতনির উপরে রয়েছে। সেটা হলে মাস্ক ব্যবহার অর্থহীন। এমন মাস্ক ব্যবহার করতে যা নাক, মুখ ও থুতনি সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে।
গত বছর সংক্রমণ কমতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসচেতনতা দেখা গিয়েছিল। একটা বড় অংশের মানুষ মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ঙ্করভাবে প্রভাব ফেলল। বর্তমানে সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ায় আবারও মানুষের মধ্যে অসচেতন মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক মাস পরে তৃতীয় ঢেউ আসবে। তাই সকলের কাছে অনুরোধ, সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। কারণ আপনি সুস্থ থাকলে আপনার পরিবার সুস্থ থাকবে, আপনার আশেপাশের লোকজন সুস্থ থাকবে।
সিউড়ি পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক