Deben Mahato Sadar Hospital

‘কুইক রেসপন্স টিম’ গড়ে নিয়ে তৈরি পুরুলিয়া

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:২৯
Share:

প্রস্তুতি: পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে। নিজস্ব চিত্র

আক্রান্তের কোনও খবর নেই। তবে তৈরি হয়ছে ‘কুইক রেসপন্স টিম’। করোনা আক্রান্ত কারও খোঁজ মিললেই পৃথক করে রাখার জন্য ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। শনিবার জেলার সমস্ত ব্লকে নিচুতলায় কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক দু’টি ওয়ার্ড প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ব্লকেও এক শয্যা বিশিষ্ট একটি পৃথক ঘরের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।’’ সামনে দোল। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষজন আসেন পুরুলিয়ায়। করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু দোলে বড়ন্তি, গড়পঞ্চকোট, অযোধ্যাপাহাড়, জয়চণ্ডীপাহাড়, দেউলঘাটা, চেলিয়ামার মতো নানা জায়গায় ভিড় হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আগে থেকে সচেতনতা প্রচারে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া জানান, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যে সমস্ত সতর্কতা নেওয়া দরকার, তা বিজ্ঞাপনে লিখে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও জনবহুল স্থানে লাগানো হচ্ছে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার আদ্রা ও রঘনাথপুরের দুই বাসিন্দার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু হয়েছিল। দু’জনই সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক জনের বাড়ি জেলায় হলেও তিনি ফেরার পরে কলকাতাতেই রয়েছেন। অন্য জন জেলায় ফিরলেও তাঁর কোনও উপসর্গের খবর স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আসেনি। তবে নজর রাখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement