মহম্মদবাজারের শালদহা মোড়ের মুরগির দোকানে। নিজস্ব চিত্র
কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে মুরগির মাংস কিনে ঘরে ফিরলেন ওঁরা। জনতা কার্ফুকে উপেক্ষা করে এমন আচরণে হতবাক অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘‘নিজের ভাল কিসে সেটাও কি ওঁরা বুঝবেন না?’’
গোটা দেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে কার্ফু পালন করছে, এমনই উল্টো ছবি দেখা গেল মহম্মদবাজারের শালদহা মোড়ে। সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটি চিকেন সেন্টারে মুরগি নেওয়ার লাইন পড়ল। এ দিন পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই লাইন দিয়ে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন মুরগি কিনে বাড়ি ফেরেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা জেনেছেন মুরগিতে কোনও রোগ নেই। সুসিদ্ধ করে খেলে কিছু হয় না। এই নিয়ে কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে। এঁদের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সকলেই বাড়িতে রয়েছে। তাই ছুটির দিন। এ দিন একটু জমিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে চলে?’’ আর কোথাও দোকান খোলা ছিল না বলেই ওই লাইন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। এ দিন ২২ টাকা কেজি ধরে মুরগি পাওয়া গিয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।
এ সব জেনে অনেকের প্রশ্ন, মুরগি মাংস খাওয়া ঠিক কিংবা ভুল কিনা, সেই তর্কের থেকেও জরুরি ছিল ঘরবন্দি থাকা। সেটাই বারবার বোঝানো হচ্ছে সরকার, প্রশাসনের তরফে। কারণ, জমায়েত থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা থাকে। সেই জমায়েত করেই এ দিন চুটিয়ে মাংস কেনা হয়েছে। এমন ক্ষেত্রেই ঝুঁকির সম্ভাবনা তৈরি
হয়। এত প্রচারের পরেও আমজনতা সচেতন হচ্ছেন না দেখে চিন্তিত অনেকেই।