Hostel

পুজোর ছুটিতেও এমন তাড়া দেখি না

সামনেই আমাদের পরীক্ষা ছিল, করোনার ভয়ে এখনকার মতো সেই পরীক্ষা স্থগিত হলেও বিশ্বভারতী খোলার পরেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে।

Advertisement

সোমনাথ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০০:১৩
Share:

হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে চলে যাচ্ছেন বিশ্বভারতীর দুই পড়ুয়া

শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকাই বিজ্ঞপ্তি জারি হল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিশ্বভারতী। আমরা যারা বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাসে থাকি তাদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে বলা হয় শনিবারের মধ্যেই।

Advertisement

আমি তখন শান্তিনিকেতনে ছিলাম না। নোটিশ দেখে শনিবার সকালেই তড়িঘড়ি ফিরে এলাম ছাত্রাবাসে। সকাল থেকে সকলের তাড়াহুড়ো আর চাপা আতঙ্ক। কে কত আগে বেরিয়ে পড়বে তার চেষ্টা। পুজোর ছুটিতেও বাড়ি ফেরার এমন তাড়া নজরে পড়ে না। আমি দেখলাম সহপাঠীদের অনেকের ব্যাগ গোছানো শেষ হয়ে গিয়েছিল। কাছাকাছির মধ্যে যাদের বাড়ি, তারা সবাই রওনা দেওয়ার জন্য তৈরি। এমনিতেই শনি আর রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই ছাত্রাবাসে ছিল না। যারা অল্প দূরত্বে থাকে তারা সকলেই শুক্রবার বাড়ি চলে যায়। এই বিজ্ঞপ্তির জেরে শনিবার সকাল সকাল ছাত্রাবাসে ফিরে ব্যাগ, বাক্স গোছাতে শুরু করে।

সামনেই আমাদের পরীক্ষা ছিল, করোনার ভয়ে এখনকার মতো সেই পরীক্ষা স্থগিত হলেও বিশ্বভারতী খোলার পরেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বইপত্রও গুছিয়ে নিতে হচ্ছে। আমাদের ছাত্রাবাসে অনেকেরই সব বই কেনার সামর্থ্য নেই। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতেই পড়াশোনা করতে হয়। এই হঠাৎ ছুটির জন্য পড়াশোনায় বেশ সমস্যা তৈরি হয়ে গেল। তবে, এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে দিশাহারা অবস্থা হয়েছে ভিন্ রাজ্য বা বিদেশি পড়ুয়াদের। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আবার সব স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। (লেখক বিশ্বভারতীর ছাত্র, হস্টেলের আবাসিক)

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement