প্রতীকী ছবি
গত বছর বাম শিবির থেকে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। বছর ঘোরার আগেই ফের শিবির বদল করলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর তপন কান্দু। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দেন পুরসভার
১২ ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর।
এ দিন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতোর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন তপনবাবু। তারপর বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে কংগ্রেসই
একমাত্র বিকল্প।’’
গত পুর নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে জিতেছিলেন তপনবাবু। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এ দিন বেশ কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে ঝালদা স্কুল মোড়ে কংগ্রেস কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তপনবাবু। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নেপালবাবু। অনুষ্ঠানে ছিলেন ঝালদা-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বাহাদুর মাহাতো, ঝালদা শহর কংগ্রেসের সভাপতি অসীম সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা।
তপনবাবু বলেন, ‘‘মাঝে মস্ত বড় একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। এখন আর পিছন ফিরে তাকানোর সময় নেই।’’
কেন ফের দলবদল?
সরাসরি বিজেপির নাম না করে তপনবাবু বলেন, ‘‘একটা রাজনৈতিক দল এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। শান্ত ঝালদাকে অশান্ত হতে দিতে পারি না।’’
গত ৬ জানুয়ারি ঝালদা শহরে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে তপনবাবুরও। কিছুদিন তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কাউন্সিলর। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তপনবাবুর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল।
তপনবাবুর দলত্যাগকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘উনি অন্য একটি রাজনৈতিক দল থেকে স্বেচ্ছায় আমাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। ওঁর দলবদলে বিজেপির ক্ষতি হবে না।’’
জেলা কংগ্রেস সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ‘‘এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে তপনবাবুর। উনি তিন বারের কাউন্সিলর। মাঝে এক বার কিছুদিনের জন্য ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন। উনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় দল শক্তিশালী হবে।’’
কংগ্রেসের আরও দাবি, তপনবাবু ছাড়া, এ দিন ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন এক বাম কাউন্সিলর এবং আরও কয়েকজন বাম কর্মী-সমর্থক তাদের দলে
যোগ দেন।
বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হেসলা গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা
বোরো
এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ত্রিলোচন মাহাতো (৬৫)। বাড়ি পুরুলিয়ার বোরো থানার হেসলা গ্রামে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের অদূরে একটি গাছে দেহটি ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই বৃদ্ধ মানসিক অবসাদে
ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এক
পুলিশ আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ময়না-তদন্তের রিপোর্টে।’’