পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বসুন্ধরা হলে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে বিশেষ প্রস্তুতি বৈঠক করল পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের কোনও খবর নেই বলেই দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পুরুলিয়ার অনেকেই কাজের সূত্রে সে সব জায়গায় থাকেন। ফলে সতর্কতায় খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। ঝাড়খণ্ড সীমানার ১৪টি চেকপোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছিল আগেই। প্রশাসনের দাবি, কিছু চেকপোস্টে ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু হয়েছে।
সোমবার পুরুলিয়া-রাঁচী রোডে জেলা স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকটি হয়েছে। জেলার সমস্ত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালের আধিকারিকেরা হাজির ছিলেন। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গুরুদাস পাত্র জানান, এই পরিস্থিতিতে কী করা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে হাতোয়াড়ায় দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নয়া ক্যাম্পাসে সোমবার জেলা রোগীকল্যাণ সমিতির একটি বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান, মেডিক্যাল কলেজের সুপার পীতবরণ চক্রবর্তী, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ।
বৈঠকের পরে সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘কেরল ও দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের হদিস মিলেছে। এই দুই জায়গা থেকেই আদ্রা ও পুরুলিয়ার সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই দুই স্টেশনে কী ভাবে নজরদারি চালানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।