Coronavirus

সর্দি-জ্বরেও কাটাতে হল আইসোলেশনে

জেলায় চিকিৎসার কাজে আসা কলকাতা মেডিক্যালের এক সার্জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে (গলা ব্যথা ও কাশির উপসর্গ) সোমবার বাঁকুড়া মেডিক্যালের ‘আইসোলেশন’-এ ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সর্দি-জ্বরে অসুস্থ তিন রোগীকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল বাঁকুড়া মেডিক্যালে। একটি রাত্রি তাঁদের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি রাখার পরে বিপদের আশঙ্কা নেই জানিয়ে তাঁদের ছুটি দেওয়া হল। এই ঘটনায় করোনা-আতঙ্কে চটজলদি বড় হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই সঙ্গে ওই রোগীদের ভাল করে পরীক্ষা না করেই কেন একটি রাত্রি ‘আইসোলেশন’-এ রাখা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

জেলায় চিকিৎসার কাজে আসা কলকাতা মেডিক্যালের এক সার্জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে (গলা ব্যথা ও কাশির উপসর্গ) সোমবার বাঁকুড়া মেডিক্যালের ‘আইসোলেশন’-এ ভর্তি করানো হয়। ওই সার্জন সদ্য লন্ডন ঘুরে এসেছেন। তাঁর লালা-রসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট মেলার পরেই তিনি আদৌ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হবেন চিকিৎসকেরা।

এ দিকে, সোমবারই এক মহিলা-সহ তিন রোগীকে মেডিক্যালের ‘আইসোলেশন’-এ ভর্তি করানো হয়। বাঁকুড়া মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জনই সিমলাপাল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে দু’জন উত্তর ভারত ও এক জন নাগাল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ফেরার পরেই তিন জন সর্দি-জ্বরে অসুস্থ হন। তবে চিকিৎসকেরা তাঁদের পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণই পাননি। মঙ্গলবার তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল থেকে তাঁদের সর্দি-জ্বরের ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, সিমলাপাল থেকে আসার তিন রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই, তাঁদের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ থেকে ছুটি দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁদের স্থানান্তর করা হয়েছিল বলেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সর্দি-কাশির উপসর্গ ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। এর মানেই কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তেমনটা নয়। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি, করোনা সন্দেহে কাউকে স্থানান্তর করা আগে যেন স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট করে দেওয়া উপসর্গগুলি খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়।”

বাঁকুড়া মেডিক্যালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সাধারণ অসুখে ভোগা রোগীদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হলে, হাসপাতালের উপর চাপ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে। স্থানান্তর করার আগে যাতে সমস্ত উপসর্গ খতিয়ে দেখা হয়, সেই দাবি তাঁরা তুলেছেন।

বাঁকুড়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, “সমস্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছি, করোনা সন্দেহ করার আগে যেন ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-এর (হু) দেওয়া উপসর্গের তালিকা দেখে নেওয়া হয়। সমস্ত ব্লকের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এ নিয়ে যা বলার বলেছি।” তিনি জানান, এ দিন জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্বাস্থ্য দফতরের ‘র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম’-এর সদস্যদের করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement