Adra

লোকাল ও ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন এক্সপ্রেস করার নির্দেশিকায় বিতর্ক

সূত্রের দাবি, গত ১৭ জুন জারি হওয়া রেলবোর্ডের ওই নির্দেশিকা  দেশের সমস্ত জোনের ‘সিপিটিএম’-এর (চিফ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজার) কাছে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

প্রশান্ত পাল

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৫:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

‘লকডাউন’-এর পরে দেশ জুড়ে এখনও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। এরই মধ্যে বেশ কিছু লোকাল ও ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন এক্সপ্রেস হিসাবে চালু করার নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন দিয়ে চলাচল করা চার জোড়া ট্রেনও সেই তালিকায় প্রস্তাবিত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিপিআরও সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘একটি নির্দেশিকা এসেছে। তবে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে।’’

Advertisement

সূত্রের দাবি, গত ১৭ জুন জারি হওয়া রেলবোর্ডের ওই নির্দেশিকা দেশের সমস্ত জোনের ‘সিপিটিএম’-এর (চিফ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজার) কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্য নানা ট্রেনের সঙ্গে এক্সপ্রেসের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে আদ্রা ডিভিশন দিয়ে চলা হাতিয়া-টাটানগর ও টাটানগর-হাতিয়া প্যাসেঞ্জার, আদ্রা-হাওড়া ও হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি প্যাসেঞ্জার, হাতিয়া-খড়গপুর ও খড়গপুর-হাতিয়া প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর-বোকারো স্টিল সিটি প্যাসেঞ্জার ও চক্রধরপুর-আদ্রা-হাওড়া প্যাসেঞ্জার।

যাত্রীদের একাংশের অনুমান, এক্সপ্রেস হিসেবে চালালে যেমন ট্রেনের ভাড়া বাড়তে পারে, তেমনই বাতিল হতে পারে বেশ কিছু ‘স্টপ’। রেলের সংসদীয় কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বাঁকুড়ার প্রাক্তন বাম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বলেন, ‘‘রেল-বোর্ডের ওই নির্দেশিকা আমি দেখেছি। খরচ কমিয়ে আয় বাড়ানোর নামে এ ধরনের পদক্ষেপ জনবিরোধী।’’

Advertisement

তিনি জানান, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজারের কাছে এর প্রতিবাদ করেছেন। রেলের সামাজিক দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে রেলমন্ত্রীকেও চিঠি লিখবেন।

পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘এমন কোনও সিদ্ধান্ত মানা হবে না। চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে আন্দোলন হবে।’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘গত ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা ও কিছু ট্রেন তুলে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতায় বিভিন্ন স্টেশনে আন্দোলন হয়েছিল। এ বারও হবে।’’

তবে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, ‘‘এই মর্মে আমার কাছে কোনও খবর নেই।’’ সাধারণ যাত্রীদের অসুবিধায় ফেলে যাতে কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিয়ে রেলমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিপিআরও সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘রেল বোর্ডের তরফে এ রকম নির্দেশিকা মাঝেমাঝেই আসে। যে ট্রেনগুলি একটা সময়ে লোকাল হিসেবে চলাচল শুরু করেছিল, তার কোনওটিকে এক্সপ্রেস হিসেবে চালানো যায় কি না তা খতিয়েও দেখা হয়। এটা রুটিন ব্যাপার। তবে এই মর্মে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement