ফাঁকা মঞ্চেই চলছে ছাত্র-যুব উৎসব। —নিজস্ব চিত্র।
ব্লক ছাত্র-যুব উৎসব এবং বিবেক উৎসব পরিচালনা নিয়ে বান্দোয়ানের বিডিও-র সঙ্গে বিরোধ বাধল শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের। যদিও বিডিও-র দাবি, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটে গিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে বান্দোয়ানে দু’দিনের ছাত্র ও যুব উৎসব শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রয়েছে বিবেক উৎসব। অভিযোগ, ব্লকের উৎসব কমিটিকে অন্ধকারে রেখেই যাবতীয় কাজ সারছেন বিডিও নিজেই। তারই জের পড়ল মঙ্গলবার উৎসবের উদ্বোধনেও। গরহাজির থাকলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজীব সোরেন-সহ তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা।
উৎসব কমিটির পেট্রন হলেন এলাকার বিধায়ক রাজীববাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘উৎসবে কী কী হচ্ছে, কে কে বিচারক হচ্ছেন, কিছুই আমরা উৎসব কমিটির সদস্যেরা জানতে পাচ্ছি না। কোনও আলোচনাই বিডিও করেননি। তিনি শুধু একদিন আমার বাড়িতে এসে উৎসব উদ্বোধন করার জন্য বলে গিয়েছিলেন। কোনও আমন্ত্রণপত্র আমি পাইনি।’’ উৎসব কমিটির সদস্যদের ক্ষোভ, তিনদিন ধরে অনেকগুলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অথচ এ নিয়ে এলাকায় আগাম কোনও প্রচারই করা হয়নি। সদস্যদেরও কিছুই জানানো হয়নি। উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য ব্লক যুব সভাপতি জগদীশ মাহাতো যুব দফতরের মন্ত্রীর প্রতিনিধি। তাঁর দাবি, এই বিডিও কিছুদিন আগে জঙ্গলমহল উৎসবের খরচ নিয়ে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মানসী মণ্ডলের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। উৎসব প্রাঙ্গণের মূল গেটে তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। এলাকার তৃণমূলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির সঙ্গেই বিডিও-র নানা কারণে মতান্তর চলছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন এই উৎসব।
যদিও বান্দোয়ানের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাসের দাবি, ‘‘আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। ব্লক ছাত্র-যুব উৎসব এবং বিবেক উৎসব নিয়ে বিধায়ক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সব মিটে গিয়েছে। উৎসবে একে একে সবাই যোগ দিচ্ছেন।’’ যদিও এ দিন উৎসবস্থলে লোকজনের ভিড় তেমনটা চোখে পড়েনি।
জেলার অন্যত্রই ওই উৎসব শুরু হয়েছে। এ দিন পুরুলিয়া ২ ব্লকের দুমদুমি হাইস্কুলে উৎসবের সূচনা করেন পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ। পুরুলিয়া শহরের এমএসএ ময়দানের স্পোর্টস হোস্টেলে শহরের ছাত্র-যুব উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মীরা বাউরি। ঝালদা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে উৎসবের উদ্বোধন করেছেন পুরপ্রধান সুরেশ অগ্রবাল।