সালিশি সভায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
এক বছর আগে গ্রাম থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তির ভাইঝির বিয়েতে উপস্থিত থাকায় গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। সেখানে মোড়ল ১২টি পরিবারের সদস্যদের জল ব্যবহার করতে না দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পর থেকেই ওই গ্রামে এক ঘরে হয়ে পড়েছেন ওই ওই ১২টি পরিবার। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত কোপাই এলাকার গোড়ারপুর গ্রামে।
ওই গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত। সুমন সোরেন নামের একটি ব্যক্তি এক বছর আগে গ্রামের লোকেদের অমতে একজনকে বিয়ে করেছিলেন। তার পর গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সম্প্রতি সুমনের ভাইঝির বিয়ে ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ওই পরিবারের লোকেরা। তা জানতে পেরেই সালিশি সভায় ওই পরিবারগুলির বিরুদ্ধে ফতোয়া চাপায় গ্রামের মোড়ল। পুকুর হোক বা নলকূপ— কোনও জায়গার জল ওই পরিবারগুলিকে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা জানাতে গিয়ে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মঙ্গল সোরেন বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারের সদস্য বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে এই ঘটনা। আমাদের এক আত্মীয়ের ভাইঝির বিয়েতে যাওয়া নিষেধ ছিল সেখানে যাওয়ার জন্যই মোড়ল এই নির্দেশ দিয়েছে।’’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বোলপুর বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সুপ্রিয় সাধু। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা খুবই নিন্দাজনক।’’ তবে ঘটনা নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।