পুরসভার টোল বুথ। নিজস্ব চিত্র।
গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকতে হলে দিতে হবে টাকা! বোলপুর শহরে এ রকমই অবাধ তোলাবাজির অভিযোগ উঠল পুরসভার বিরুদ্ধে। বিরোধীরা সুর চড়ালেও বিষয়টি সম্পর্কে নাকি জানেই না প্রশাসন।
বীরভূম জেলার অন্যতম পর্যটন শহর শান্তিনিকেতন। বোলপুর শহরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে শান্তিনিকেতন। পর্যটনের কারণে বাইরের গাড়ির আনাগোনা লেগেই থাকে এখানে। সেই বোলপুরে ছোট থেকে বড় যে কোনও গাড়ি নিয়ে ঢুকতে গেলেই পুরসভাকে দিতে হবে কর। ছোট-বড় বিভিন্ন গাড়ির জন্য দরও ঠিক করা আছে।
বোলপুর শহরের জামবুনি-কাশীপুর বাইপাস এলাকায় শহরের প্রবেশপথেই পুরসভার তরফে বসিয়ে রাখা হয়েছে টোল বুথ। সেখানে শহরে ঢুকতে আসা গাড়ির থেকে টাকা নেওয়া হয়। পুরসভা সুত্রে খবর, এই বুথের লিজ দেয় পুরসভা। সেই করের টাকা সংগ্রহ করে বেসরকারি সংস্থার লোকরা।
টাকা আদায়ের রসিদ। নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু এই টোল বুথগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি, এই টোলের ব্যাপারে নাকি কিছু জানেই না প্রশাসন। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেছেন, ‘‘তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।’’ ফোনে যোগাযোগ করা হলে বোলপুরের মহকুমা শাসকও বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। শহরে ঢুকতে হলে টাকা নেওয়া কী ভাবে বৈধ হতে পারে, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। তার উপরে, এর জেরে যে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেও।
বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভা বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পরই শাসক দলের মদতে পুরসভা সাধারণ মানুষের উপর অবাধ তোলাবাজি করছে। তাঁদের অভিযোগ, এ সব নাকের ডগায় ঘটলেও চুপ প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও বোলপুর পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত হাজরা বলেছেন, ‘‘সব নিয়ম মেনেই হচ্ছে। নিয়ম মেনেই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বলছেন বৈধ নয়, তাঁরা আমাদের সঙ্গে বসুন।’’