Primary health Center

নয়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালাবে কে? চিকিৎসকের অভাবে শুরু বিতর্ক

সূত্রের খবর, পুর-সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পদমর্যাদা সম্পন্ন দুই স্থায়ী চিকিৎসক-সহ স্টাফ নার্স, আশাকর্মী ও কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের থাকার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫১
Share:

রঘুনাথপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।

রঘুনাথপুরের দুই পুর-সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হল ঘটা করে। সোমবার ১৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান তরণী বাউরি ও পুরপ্রতিনিধি মালবিকা সাঁই। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামীতে নন্দুয়াড়ার পাথরপুকুর এলাকায় আরও একটি কেন্দ্র শুরু করা হবে। পুরপ্রধানের দাবি, স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকায় তৈরি ওই দুই কেন্দ্র থেকে উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলবে। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, যেখানে পুরসভা চিকিৎসকহীন, সেখানে পুর-সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কীভাবে উন্নত পরিষেবা পাওয়া সম্ভব?

Advertisement

সূত্রের খবর, পুর-সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পদমর্যাদা সম্পন্ন দুই স্থায়ী চিকিৎসক-সহ স্টাফ নার্স, আশাকর্মী ও কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের থাকার কথা। শিশু ও প্রসূতিদের টিকাকরণ, প্রবীণদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা থেকে টেলিমেডিসিনের সুবিধা, সব মিলবে একই কেন্দ্রে। কিন্তু বর্তমানে পুরসভাতে কোনও হেলথ্ অফিসার নেই। এক জন মেডিক্যাল অফিসার থাকলেও তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। তাহলে নতুন দু’টি পুর-সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব নেবেন কারা?

শহর কংগ্রেসের সভাপতি তারকনাথ পরামানিক বলেন, “স্বাস্থ্য পরিষেবার মূল জায়গা চিকিৎসক। তাঁরাই না থাকলে চিকিৎসা করবেন কারা?” একজন মেডিক্যাল অফিসারের পক্ষে নতুন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বিশাল সংখ্যক রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব কি না তা নিয়েও সন্দিহান বিরোধী মহল। তারক আরও বলেন, “এই কেন্দ্রগুলি শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল পুরসভার।” যদিও পুরপ্রধান তরণীর আশ্বস্ত করছেন, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র শুরু হলেই চিকিৎসক পাঠানো হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement