Government Employees Post

বেকারদের হেয়! সরকারি কর্তার পোস্ট-এ বিতর্ক

একজন সরকারি আধিকারিকের এমন বার্তায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে নিন্দা-মন্দ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৬
Share:

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ছবি টুয়েলভথ্ ফেল নিয়ে এখন দেশ জুড়ে চর্চা। সেখানে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে লড়াই করে আইপিএস হওয়া এক যুবকের জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। আর তারই মধ্যে বাঁকুড়ার এক সরকারি কর্তার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক বাধল। পরে অবশ্য তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করেছে। সমাজ মাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছেন।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী?

বাঁকুড়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর প্রসূনকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুকে লিখেছিলেন, বেসরকারি সংস্থায় ছোটখাটো কাজ করা বা বেকার লোকজন যেন তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠায়। একজন সরকারি আধিকারিকের এমন বার্তায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে নিন্দা-মন্দ শুরু হয়। বিতর্কের মুখে প্রসূন ওই পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে দেন। তারপর ক্ষমা চেয়ে লেখেন, ‘আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। কেউ এর জন্য আঘাত পেলে আমি দুঃখিত’। তবে এ নিয়ে ওই আধিকারিককে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

প্রশাসনের অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার জেলায় জেলায় গিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সরাসরি সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ গড়ে তুলতে বলছেন, এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। তা ছাড়া, বাঁকুড়া জেলাতেও বহু জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে বিভিন্ন পুলিশ ও প্রশাসনের স্তরের আধিকারিকদের মানবিক ভূমিকা বারবার নজর কেড়েছে। সেখানে জেলার ডব্লিউবিসিএস এক আধিকারিক কী ভাবে সমাজ মাধ্যমে এমনটা লিখলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের অন্দরেই।

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ওঁর পোস্টটি আমি দেখিনি। তবে এই সংক্রান্ত একটি খবর পড়লাম। সেই খবর পড়ে আমি হতাশ। সমাজ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোয় জোর দিচ্ছি আমরা। সেখানে এমন মানসিকতা কেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement