চড়া আনাজের দাম, বিক্রেতা দুষছেন বৃষ্টিকে

সাধারণত শীতের মুখে বাজারে নতুন আনাজ আসতে শুরু করলে দাম কমতে থাকে। এ বার এখনও তা হয়নি। বরং বেশ কয়েকটি আনাজের দাম এখনও বেড়েই চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৯
Share:

সবজির চড়া দাম। —ফাইল চিত্র।

দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জেলায় এখনও ঊর্ধ্বমুখী আনাজের দাম। পটল, ঢেঁড়স, আদা, লঙ্কার মতো বেশ কিছু আনাজের দাম পুজোর পরেও বেড়েছে। যদিও জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার দাবি, আনাজের বেআইনি মজুত ঠেকাতে নিয়মিত নজরদারি চলছে। বিক্রেতাদেরও দাবি, পুজোর আগে বৃষ্টিতে আনাজ চাষের যে ক্ষতি হয়েছে, তারই প্রভাব পড়ছে আনাজের দামের উপরে। ভাইফোঁটার সময়ে আনাজের দাম আরও কিছুটা বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। এই অবস্থায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় এবং আনাজ কেনার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। দাম কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্য চেষ্টা চলছে বলে দাবি করছেন এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকেরা।

Advertisement

জেলার আনাজ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত এক বছরের মধ্যে দফায় দফায় দাম বেড়েছে আনাজের। টোম্যাটো, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, বেগুনের মতো আনাজের দাম দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। তবে সাধারণত শীতের মুখে বাজারে নতুন আনাজ আসতে শুরু করলে দাম কমতে থাকে। এ বার এখনও তা হয়নি। বরং বেশ কয়েকটি আনাজের দাম এখনও বেড়েই চলেছে।

বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ২৮-৩০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪৫-৫০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪৫-৫৫ টাকা, টোম্যাটো ৮০-১২০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫৫ টাকা, কচু ৪৫-৫৫ টাকা, কুমড়ো ২৫-৩৫ টাকা, গাজর ৮০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অতিরিক্ত দাম বেড়েছে আদা, রসুন এবং লঙ্কারও। আদা ১২০-২০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৫০-২২০ টাকা, রসুন ৩৫০-৪২০ টাকা, ধনেপাতা ২৮০-৩২০ টাকা কেজি দরে এ দিন বিক্রি হয়েছে।

Advertisement

সিউড়ির কোর্ট বাজার এলাকার আনাজ বিক্রেতা পিরু আলি বলেন, “পুজোর আগে যে বৃষ্টিটা হয়েছে, তাতে প্রচুর আনাজ নষ্ট হয়েছে। ফলে, বাজারে আনাজের যে পরিমাণ জোগান থাকত, সেটা এ বার অনেকটাই কম। জোগান কম থাকার কারণে দামটাও বেশি থাকছে। দাম বেশি হওয়ায়, বিক্রিও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ক্রেতারা অতি প্রয়োজনীয় আনাজ ছাড়া বিশেষ কিছু কিনছেন না।”

আনাজের এই অতিরিক্ত দাম প্রসঙ্গে জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার ডিএসপি স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “আনাজের দাম যে বেড়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখন বাজারে ১০০ টাকার নীচে প্রায় কোনও আনাজই মিলছে না। আমরা এই অতিরিক্ত দামের উপরে নিয়মিত নজর রাখছি। তবে এখনও কোথাও কোনও মজুতদারির খবর আমাদের কাছে নেই। পুজোর আগের অতিবর্ষণই এই দাম বাড়ার জন্য দায়ী। তা ছাড়া দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত সময়ে আনাজের দাম প্রতি বছরই কিছুটা বেশি থাকে। আশা করছি, ভাইফোঁটার পরে এ দাম অনেকটাই নাগালের মধ্যে আসবে।” তিনি আরও জানান, আনাজের জোগান বাড়ানোর জন্য কোনও বিকল্প পন্থা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement