প্রতীকী ছবি।
সরকারি প্রকল্পের কর্মী এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেও ফল না পাওয়ারও। সোমবার বিষ্ণুপুর থানায় গেলে পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বধূ। তবে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগটিকে কোনও ভাবেই ছোট করে দেখা হচ্ছে না।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কনস্টেবল।
ইন্দাস থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বধূর দাবি, ২০১৯ সালের জুনে পড়শি পরিবারের সঙ্গে একটি মামলার সূত্রে ইন্দাস থানায় কর্মরত ওই কনস্টেবলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। অভিযোগ, একাধিক বার তাঁকে ধর্ষণ করে ওই কনস্টেবল। জোর করে ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলে নেয় নিজের মোবাইলে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে, সে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। হুমকি দেয় স্বামীকে খুন করার। গত ডিসেম্বরে ওই কনস্টেবল বিষ্ণুপুর থানায় বদলি হওয়ার পরেও তাঁর উপর নির্যাতন চলতে থাকে বলে অভিযোগ।
ওই বধূর অভিযোগ, এ বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি ওই কনস্টেবল বন্ধুদের নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তার পরেই তিনি অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ক্ষোভ, চলতি বছর এপ্রিলে ইন্দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়। চাপ দেওয়া হয় ‘মিটমাট’ করে নেওয়ার জন্য। ১ জুন তিনি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ অভিযোগ জমা করেন।
অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘ইন্দাস থানার পুলিশের পরামর্শমতো সোমবার বিষ্ণুপুর থানায় এসেছিলাম। কিন্তু বিচার তো দূরের কথা, আমাদের কটূক্তি করে টাকা নিয়ে মিটমাট করতে বলেছেন এক পুলিশ আধিকারিক। আমি চাই, অন্যায়ের বিচার হোক।’’ যদিও তেমন কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত কনস্টেবল সোমবার ফোনে দাবি করেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁর থেকে অভিযোগকারিণীর পরিবার কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযোগকারিণী বধূ।