এই গাড়ি থেকেই চুরি হয়েছে তেল।
তেল চুরি থেকে আবাসনের জিনিসপত্র চুরি – চুরিতে জেরবার সিউড়ি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে দুর্গাপুর যাচ্ছিল একটি দশ চাকার গাড়ি। জাতীয় সড়কে সিউড়ি শহর সংলগ্ন নতুনপল্লির কাছে একটি পেট্রল পাম্পে শুক্রবার রাতে দাঁড়িয়েছিলেন গাড়ির চালক। অভিযোগ, শনিবার ভোরে উঠে তিনি দেখেন গাড়ির জ্বালানী ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা এবং প্রায় পুরো ডিজেল চুরি হয়ে গিয়েছে। গাড়ির চালক হরিকৃষ্ণ তিওয়ারি বলেন, ‘‘পেট্রল পাম্পে বাস ও গাড়ি রয়েছে। তা দেখেই ভাবলাম এখানে নিরাপজে গাড়ি রাখতে পারব। কিন্তু সকালে দেখলাম তেল চুরি হয়ে গিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হবে তদন্তের স্বার্থে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোরে সিউড়ির সোনাতোড়পাড়ার সরকারি আবাসনের আবাসিকরা দেখেন যে পাঁচটি অব্যবহৃত আবাসনের দরজার তালা ভাঙা। শুক্রবার ভোরে সিউড়ির সোনাতোড়পাড়ার সরকারি আবাসনের আবাসিকরা দেখেন যে পাঁচটি অব্যবহৃত আবাসনের দরজার তালা ভাঙা। শুক্রবার ভোরে সিউড়ির সোনাতোড়পাড়ার সরকারি আবাসনের আবাসিকরা দেখেন যে পাঁচটি অব্যবহৃত আবাসনের দরজার তালা ভাঙা। ভিতর থেকে বেসিন, কল-সহ নানা সামগ্রী চুরি হয়ে গিয়েছে। ওই আবাসনগুলি মাস ছয়েক বন্ধ রয়েছে। সেই সুযোগে কিছু নেশাখোর চুরি করেছে বলেই বাসিন্দাদের অভিযোগ। কারণ, তালা ভাঙা ঘরগুলির মধ্যে নেশার সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে জানান এক বাসিন্দা। আবাসনের অনেকেই অভিযোগ করেন, শুধু চুরি নয়, ওই আবাসনে বহিরাগতদের আনাগোনার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। আবাসনের পাঁচিল ডিঙিয়ে অনেকেই ভিতরে চলে আসে এবং যেখানে সেখানে নেশার আসর বসায়। শুক্রবার রাতেও দু’জন যুবক ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষী তাদের বার করে দেয়।
ওই আবাসন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা সকলেই আতঙ্কে আছি। আমাদের গাড়িগুলি বাইরে থাকে। এবার গাড়ি চুরি হয়ে যাওয়ারও ভয় করছে।’’ তবে বারবার এই চুরির ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, গত দেড় মাসে সিউড়ি থানা এলাকার তিনটি মন্দিরে, দুটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর আবার গত দু’দিনে এই দুই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে।