তৃণমূলে দ্বন্দ্ব বন্ধের নির্দেশই সার

বান্দোয়ানে ফের পথে বিক্ষুব্ধেরা

বান্দোয়ানে শাসকদলের ফাটল কিন্তু কমছে না। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে শুক্রবার বান্দোয়ানে ব্লক সভাপতির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী মোটরবাইক নিয়ে র‌্যালি বের করে শক্তি প্রদর্শন করলেন। এক সপ্তাহ আগেও মিছিল ও জমায়েত করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০২:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দেরি নেই। জেলায় প্রভাব বাড়াচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাই বার বার সংগঠন গোছাতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের তৎপর হতে নির্দেশ দিচ্ছেন। বান্দোয়ানে শাসকদলের ফাটল কিন্তু কমছে না। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে শুক্রবার বান্দোয়ানে ব্লক সভাপতির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী মোটরবাইক নিয়ে র‌্যালি বের করে শক্তি প্রদর্শন করলেন। এক সপ্তাহ আগেও মিছিল ও জমায়েত করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

বান্দোয়ানে শাসকদলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে জুন মাসের মাঝামাঝি ব্লক তৃণমূল কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায়। বান্দোয়ান –পুরুলিয়া রাস্তায় দলের ব্লক অফিস থাকা সত্ত্বেও বিক্ষুব্ধরা বান্দোয়ান –মানবাজার রাস্তায় নতুন অফিস খুলে বসেন। দলনেত্রীর ছবি দেওয়া ব্যানার, পতাকা দিয়ে অফিস সাজানো হয়। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা কলেন্দ্রনাথ মান্ডির অভিযোগ, ‘‘ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝি কয়েকজন নেতাকে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি বেনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু দলের জেলা সভাপতির কাছে তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষে স্থানীয় কর্মীদের চাপে নিজেরাই নতুন কমিটি গঠন করেছি।’’ তাঁর দাবি, বান্দোয়ানে এটিই তৃণমূলের আসল ব্লক কমিটি। এই কমিটিতে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বীরভদ্র মাহাতো-সহ বেশিরভাগ কর্মাধ্যক্ষ রয়েছেন। বলেও বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দাবি, জেলা কমিটির সদস্য বীরেন্দ্রনাথ মাহাতো, স্বপন দত্তের মতো প্রবীণ নেতারাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।

শুক্রবার বান্দোয়ানের একটি লজ থেকে কর্মীদের নিয়ে বিরাট বাইক মিছিল এলাকায় বেরোয়। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা বীরেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘২১ জুলাই কলকাতায় যুব তৃণমূলের ডাকে সভা রয়েছে। ওই সভাকে সাফল্য দিতেই শুক্রবার মিছিল করা হয়। বান্দোয়ানের আটটি পঞ্চায়েত থেকে যুবরা বাইক র‍্যালিতে যোগ দেন। কয়েকটি জায়গায় পথ সভা হয়।’’

Advertisement

বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব সোরেন ওই বাইক র‌্যালিকে দলীয় কর্মসূচি বলে মানতে নারাজ। তিনি দাবি করেন, ‘‘জেলা সভাপতি ওই কমিটিকে অনুমোদন দেননি। কাজেই ওটা দলীয় কর্মসূচি কী ভাবে বলব? তবে দলের ঝান্ডা নিয়ে যেই প্রচার করুক, তাতে দলেরই শক্তিবৃদ্ধি হয়।’’ ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝির দাবি, ‘‘আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যা। শনিবার কর্মীরা অনেক বড় মিছিল করে তার প্রমাণ দেবেন।’’

জেলা নেতৃত্ব কী ভাবছেন? জেলা সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালির প্রতিক্রিয়া, ‘‘বান্দোয়ান নিয়ে কিছু বলব না?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement