ফাইল চিত্র
‘লোডশেডিংয়ের সরকার’ সিপিএমের সময়ের এই শ্লোগান এখন তৃণমূলকে শুনতে হচ্ছে বলে জেলা সভাপতির কাছে অনুযোগ করলেন তালোয়া পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ বদরুদ্দোজা। বৃহস্পতিবার ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের বুথভিত্তিক সম্মেলনের ঘটনা। এ দিন ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের তালোয়া, ঝিকোড্ডা ও বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথভিত্তিক সম্মেলন হয়। আবহাওয়ার কারণে বাজিতপুর অঞ্চলের সভা বাতিল বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে ডাকা হয় তালোয়া পঞ্চায়েতকে। ওই পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ বদরুদ্দোজাকে দাঁড় করিয়ে লোকসভায় তৃণমূল কোন বুথে এগিয়ে, কোন বুথে পিছিয়ে তা জানতে চান। এরপর কয়েক জন বুথ সভাপতিকে জানতে চান সরকার ৬৫টি প্রকল্প চালু করেছে। আপনারা দশটির নাম বলুন। কিন্তু, কেউ দশটি প্রকল্পের নাম বলতে পারেননি। এরপরেই অনুব্রত বিধায়ক অভিজিৎ রায়কে নির্দেশ দেন সরকারের ৬৫টি প্রকল্প ছাপিয়ে প্রত্যেক বুথে বুথে সভাপতিদের হাতে হাতে দিতে। যাতে সেই তালিকা ধরে ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা যায়।
বুথকর্মীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “বাড়ি থেকে বাজারে এলেই সিপিএমের আমলের শ্লোগান লোডশেডিংয়ের সরকার শুনতে হচ্ছে। কারণ, তিন মাস ধরে মল্লারপুরে লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকার মানুষ।’’ অভিযোগ শুনে বিধায়কের ফোন থেকে সরাসরি রামপুরহাট মহকুমা ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। বিষয়টি দেখার কথা বলেন। ফোন ধরেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও। এলাকার মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে সমস্যার সমাধানের আবেদন জানান।