টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে কলেজ ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল রঘুনাথপুর কলেজে। শুক্রবার টিএমসিপির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ডিএসওর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। পরে কলেজে টিএমসিপি সন্ত্রাস তৈরি করছে এই মর্মে মহকুমা প্রশাসনের কাছে তারা স্মারকলিপি দিল ডিএসও।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর পুরুলিয়া জেলার অন্য কলেজগুলির সঙ্গে রঘুনাথপুর কলেজেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ডিএসও-র অভিযোগ, এ দিন তাদের সর্মথকেরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে টিএমসিপির কর্মীরা বাধা দেয়। হুমকিও দেওয়া হয়।
ঘটনা হল দীর্ঘদিন ধরে রঘুনাথপুর কলেজের ছাত্র সংসদ টিএমসিপির দখলে। এ বার ডিএসও বাদ দিয়ে অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন কলেজে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেনি। ডিএসওর পুরুলিয়ার সভাপতি স্বদেশপ্রিয় মাহাতোর দাবি, তাঁরা মোট ৩৭টি মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। বুধবার চারটি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। শেষদিনে বাকি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই লাইনে দাঁড়ানো ডিএসওর কর্মীদের হুমকি দিতে থাকে টিএমসিপির নেতারা। কয়েকজনকে লাইন থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়াও হয়। ফলে আমাদের কোনও প্রার্থীই এ দিন তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।” তবে ডিএসওর অভিযোগকে উডিয়ে দিয়ে টিএমসিপির পুরুলিয়ার সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রায় দাবি করেছেন, ‘‘ডিএসও মাত্র চারজনকে প্রার্থী করতে পেরেছে। বাকি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা জিতছি দেখে ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।’’
মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে দুপুরের দিকে ডিএসও-র কর্মীরা কলেজ থেকে বেরিয়ে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পরে রঘুনাথপুর থানা থেকে পুলিশ দিয়ে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে ডিএসওর কর্মীদের সাথে ধস্তাধস্তি বাধে। জোর করেই ওই ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে রঘুনাথপুর থানার কাছে ঘটনার প্রতিবাদে পথসভা করে মহকুমাপ্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ডিএসও।
জেলায় কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত গোলমাল হয়েছে লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তারপর ওই কলেজে কড়া পুলিশি পাহারায় মনোমনয়পত্র জমা দেওয়া হয়।