প্রতীকী ছবি।
গরু পাচারের মামলা ঘিরে রাজ্য জুড়ে শোরগোলের আবহেই গরু চুরির ঘটনা বাঁকুড়ায়। বুধবার রাতে কোতুলপুরে একের পর বাড়ি থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। খিরি গ্রামে ওই গরু চুরির ঘটনা নিয়ে বুধবার কোতুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কৃষিজীবী প্রধান খিরি গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই গরু পালনের রেওয়াজ রয়েছে । অতীতে কোনও দিন গ্রামে গরু চুরির ঘটনা না ঘটায় অধিকাংশ পরিবারের গোয়াল খোলামেলা। আর তারই সুযোগ নিয়ে বুধবার গভীর রাতে গ্রামে হানা দেয় একদল গরু চোর । গ্রামের চারটি গোয়ালে বেঁধে রাখা মোট আটটি গরু নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার ভোরে বিষয়টি নজরে আসে । গরুর খোঁজ শুরু হলে গ্রাম লাগোয়া এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় একটি গরুকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি যে জায়গায় গরুটি বাঁধা ছিল সেখানে গাড়ির চাকার স্পষ্ট দাগ রয়েছে। গ্রামবাসীদের ধারণা, চুপিসারে গ্রাম থেকে গরুগুলিকে চুরি করে প্রথমে হাঁটিয়ে তাদের গ্রামের বাইরে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে ‘পিকআপ ভ্যান’ জাতীয় কোনও গাড়িতে চাপিয়ে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রাম থেকে আটটি গরু বাইরে আনা হলেও সম্ভবত গাড়িতে জায়গার অভাবের কারণে একটি গরুকে চোরেরা নিয়ে যেতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতুলপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। এলাকার বাসিন্দা ছায়া ঘোষ বলেন, ‘‘আমন চাষের মরসুম চলছে। এই অবস্থায় লাঙল টানার জন্য বহু কষ্টে এক জোড়া গরু কেনা হয়েছিল । প্রায় সত্তর হাজার টাকা খরচ করে কেনা সেই একজোড়া গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন কী হবে ভেবে পাচ্ছি না।’’ স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘আমার একজোড়া গরু গোয়াল থেকে খুলে নিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে আজ সকালে গ্রাম লাগোয়া এলাকায় একটিকে পাওয়া গিয়েছে।’’ বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’