এ ভাবেই ছেঁড়া হয়েছে কাট-আউট। নিজস্ব চিত্র
তিনি জেলবন্দি হলেও শাসকদলের জেলা সভাপতি। সেই অনুব্রত মণ্ডলেরই কাটআউট ছেঁড়ার ঘটনা ঘটল খাস জেলা সদরে! সোমবার রাতে সিউড়ির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটজনবাজার এলাকা তৃণমূল কার্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে বেশ হইচই পড়েছে।
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে এসে তাঁরা দেখতে পান, কার্যালয়ের সামনে রাখা একটি ব্যানারে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের ছবি কেউ বা কারা কেটে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। ব্যানারের অন্যান্য অংশও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা এলাকার কাউন্সিলর পিঙ্কি দাস ও তাঁসর প্রতিনিধি পবিত্র দাসকে সব জানান। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানার পুলিশকেও। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পবিত্র দাসের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এই দলীয় কার্যালয়ের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রতের ছবি দেওয়া একটি ব্যানার ছিল। কয়েক মাস আগে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা দুই নেতানেত্রীর ছবি কেটে ফেলে দেয়। গত ১৬ এপ্রিল সিউড়িতে ফিরহাদ হাকিমের সভা উপলক্ষে এই কার্যালয়েরই সামনে রাস্তার উপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যানার লাগানো হয়েছিল। সেগুলিকেও কয়েকদিন পরে ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়।
সোমবার রাতে ফের একই ঘটনা ঘটায় সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পবিত্র বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে মুখোমুখি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই বলেই রাতের অন্ধকারে এই সব অসামাজিক কাজ করছে বিরোধীরা। বারবার একই ঘটনা ঘটলে তৃণমূল তা বরদাস্ত করবে না। আমরা আশা রাখি, পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করবে।” তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “বিজেপি এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না। অনুব্রত মণ্ডল জেলাকে যে অবস্থায় নিয়ে গেছেন, সেই ক্ষোভে সাধারণ মানুষ বা তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর কেউ এই কাজ করেছে। আর যিনি দুর্নীতির দায়ে জেলে আছেন, তাঁর ছবি রাখারই বা কী প্রয়োজন?”