যৌথবাহিনীর সঙ্গী হাসিনা ও প্লুটো

জেলা পুলিশের এক কর্তা এবং আধা সেনার এক কর্তা জানাচ্ছেন, সাধারণ ‘স্নিফার ডগ’ নিয়ে অভিযান হয় না। কিন্তু এ বার অভিযানের গুরুত্ব অনেকখানি।

Advertisement

রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ০২:০৩
Share:

এই সেই প্লুটো। নিজস্ব চিত্র

সীমানার ওপাড়ে সক্রিয় মাওবাদীরা। এপাড়ের জঙ্গল সুরক্ষিত তো? ভোটের কাজে ক্যাম্প থেকে সিআরপি জওয়ানদের তুলে নিয়ে যাওয়ায় টানা দু’মাস ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দক্ষিণ পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার জঙ্গলে নজরদারিতে কিছুটা হলেও ঘাটতি ছিল। তাই জঙ্গলের আড়ালে বিপদ লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা নিয়ে আটঘাট বেঁধেই তল্লাশিতে নামতে চলেছে যৌথবাহিনী। পথে কোথাও বিস্ফোরক রয়েছে কি না, তা খুঁজতে ‘স্নিফার ডগ’ রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জেলা পুলিশের এক কর্তা এবং আধা সেনার এক কর্তা জানাচ্ছেন, সাধারণ ‘স্নিফার ডগ’ নিয়ে অভিযান হয় না। কিন্তু এ বার অভিযানের গুরুত্ব অনেকখানি। তাই ‘স্নিফার ডগ’ হাসিনা ও প্লুটোকে নিয়ে অভিযানে নামা হচ্ছে। কারণ জঙ্গলের ঝরা পাতার নীচে বা মেঠো রাস্তায় আইইডি বিস্ফোরক বেছানো থাকলে সামনে থাকা প্রশিক্ষিত কুকুর তার খোঁজ দিতে পারবে।’’

এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের গতিবিধি না থাকলেও পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের সক্রিয়তা পুরোদস্তুর রয়েছে। কিছু দিন আগেও সরাইকিলা-খরসঁয়া জেলায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে কয়েকজন জওয়ান জখম হন। তাই মাস দুয়েক কার্যত অরক্ষিত থাকা জঙ্গলে ঢুকতে বাড়তি সাবধান হচ্ছে সিআরপি ও জেলা পুলিশ। তাই ডাক পড়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর প্লুটো ও হাসিনার।

Advertisement

শনিবার বান্দোয়ান থানায় অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠতে বসেছিলেন জেলা পুলিশ এবং সিআরপি-র আধিকারিকেরা। বৈঠকে ছিলেন মানবাজার মহকুমার পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার, কুচিয়া ক্যাম্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট মনোজ কুমার পান্ডে, গুড়পানা ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর ঋষিকেশ কুমার, বেড়াদা ক্যাম্পের অ্যাসিন্ট্যান্ট কমান্ডান্ট কে সি দাস, বান্দোয়ান থানার ওসি মুকুল কর্মকার, বরাবাজার থানার আইসি সৌগত ঘোষ, কমান্ডো বাহিনীর আধিকারিক অভিজিৎ সিং মহাপাত্র প্রমুখ। সেখানেই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে নীল নকশা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরের উপরে ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকেও বিশেষ নজরে রাখার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় নিজেদের কৌশল বদলে যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। সেই সব কৌশল নিয়ে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার অভিযানে স্নিফার ডগ রাখা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement