Bisva Bharati

শান্তি ফেরানোর দাবি সংস্কৃতি কর্মী, ডিএসওর

বুধবার বিকেল ৫টা থেকে শান্তিনিকেতনের একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় বিশ্বভারতী ডিএসও লোকাল কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ২৩:৫৯
Share:

প্রতিবাদ: অচলাবস্থা কাটানোর দাবিতে পথে। —নিজস্ব চিত্র।

একাধিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফে বিশ্বভারতীতে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে। বুধবার এই দাবিতেই শান্তিনিকেতন দমকল অফিসের সামনে জড়ো হন বোলপুর ও শান্তিনিকেতনের নাট্যানুরাগী ও সংস্কৃতিমনস্ক কিছু মানুষ। অনুষ্ঠানে ছিলেন নাট্যকার জুলফিকার জিন্না, সাহিত্যিক কুন্তল রুদ্র সহ অনেকেই।

Advertisement

বুধবারের এই জমায়েত থেকে দাবি ওঠে, বিশ্বভারতীর মুক্তচিন্তা, মুক্তশিক্ষা ও মুক্তাঙ্গনের আদর্শকে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত করা চলবে না। জুলফিকার জিন্না বলেন, “অনেকেই বোলপুর ডাকবাংলো মাঠ ঘেরার সঙ্গে পৌষমেলার মাঠ ঘেরার তুলনা করছেন। কিন্তু, বিশ্বভারতীর সঙ্গে অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের চরিত্রগত তুলনা চলতে পারে না”। এ দিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা তথা বোলপুরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী কামদেব গোস্বামী বলেন, “পাঁচিল ঘেরার ভ্রান্ত বিতর্কে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া নয়, অবাঞ্চিত অবরুদ্ধতা থেকে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনকে মুক্ত রাখার দাবিতেই লেখক, শিল্পী, নাট্যকর্মীরা সমবেত কণ্ঠে সোচ্চার হয়েছেন।"

এই বিষয় সামনে রেখেই বুধবার বিকেল ৫টা থেকে শান্তিনিকেতনের একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় বিশ্বভারতী ডিএসও লোকাল কমিটি। সংগঠনের তরফে বিশ্বভারতীর গবেষক অমিত মণ্ডল বলেন, “উপাচার্য তার পত্রবার্তায় গুরুদেবকে 'বহিরাগত' বলে যেভাবে উল্লেখ করেছেন, তা নিন্দনীয়। একইসঙ্গে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত বিশ্বভারতীর বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর দাবি জানাচ্ছি।"

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement