dangerous house

শিক্ষা নিক পুরসভা, চাইছে শহর

বিপজ্জনক ভাবে শহর জুড়ে জীর্ণ বাড়িগুলি একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৪
Share:

বিপজ্জনক: সিউড়ির টি কে পাড়া রোড (বাঁ দিকে) ও টিনবাজারে দু’টি ভগ্নপ্রায় বাড়ি। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রাণহানি না ঘটলেও জেলা সদরে বহুতল থেকে জীর্ণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। শহরবাসীর ক্ষোভ, এমন একাধিক ঘটনার পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়নি পুরসভা। সোমবার সিউড়িতে ভগ্নপ্রায় দোকানের কার্নিশ ভেঙে এক কিশোরীর মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে, এ বার কি হঁশ ফিরবে পুরসভার?

Advertisement

গত বছর সেপ্টেম্বরে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় একটি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। ওই বহুতলের পাশে সুপার মার্কেটেও একটি ভবনের চাঙড় খসে পড়েছিল। সোমবার যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার কিছুটা দূরেই গত বছর অক্টোবরে সিউড়ির বাজারপাড়ায় একটি জীর্ণ দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। বাড়ির ভগ্নাবশেষ রাস্তায় ছিটকে এসে পড়ে। সে বার দুপুরের দিকে ঘটনাটি না ঘটে সকালের দিকে ঘটলে সোমবারের মতো প্রাণহানি ঘটতে পারত। কারণ ওই বাড়ি ঘেঁষেই আনাজ নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। কিন্তু তারপরও জীর্ণ ও ভগ্নপ্রায় বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে তেমন কোনও পদক্ষেপ হয়েছে বলে চোখে পড়ে নি। পুরসভা সচেতন হলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত। বিপজ্জনক ভাবে শহর জুড়ে জীর্ণ বাড়িগুলি একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।

সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সোমবারের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ওই ঘটনার পরই পুরসভার বোর্ড একটি বৈঠকের পর মিলিত সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে জীর্ণ ও ভগ্নপ্রায় বাড়ির তালিকা তৈরি হবে। সেগুলি স্বাস্থ্য কেমন যাচাই করবেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারা। তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, বাজারপাড়ায় গত বছর বাড়ি ভেঙে পড়ার পরই শহরের ১২টি বাড়িতে জীর্ণ এবং ভগ্নপ্রায় বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পুরসভা। কিন্তু তারপর কী হল তার সদুত্তর মেলেনি। পুরসভা অবশ্য এ জন্য কোভিড পরিস্থিতিকে দায়ী করছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement