শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সময়টা ভাল যাচ্ছে না বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। চাকরির নিয়োগে বেনিয়ম সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবারই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে সুভাষের আপ্ত সহায়ক এবং বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতির। এ বার রেল অবরোধে যুক্ত থাকার পুরনো একটি মামলায় চার্জ গঠন হল সুভাষ-সহ বাঁকুড়ার এক বিজেপি নেত্রী মনীষা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সুভাষ অবশ্য অবরোধে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
বুধবার বাঁকুড়া আদালতে ওই মামলার চার্জ গঠন হয় সুভাষ ও মনীষার বিরুদ্ধে। রেলের তরফে আইনজীবী তথা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ জানান, ২০১৬ সালের মার্চে বাঁকুড়ার ভাদুলের রেলগেট দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করার বিরুদ্ধে রেল অবরোধ করে আন্দোলন করা হয়। ওই আন্দোলনে সুভাষ ও মনীষার যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আরপিএফ এ নিয়ে মামলা করে। তদন্তের একটি রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয় যেখানে ওই দুই নেতা-নেত্রীর নাম ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন আদালতে মামলাটির চার্জ গঠন হয়েছে।
বিল্লেশ্বর বলেন, “অবৈধ ভাবে রেল অবরোধ-সহ কয়েকটি ধারায় চার্জ গঠন হয়েছে। এ বার ওই মামলার শুনানি শুরু হবে।”
২০১৬ সালে সুভাষ বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকা সত্ত্বেও সুভাষেরা কেন রেল অবরোধ আন্দোলনে নামলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুভাষ বলেন, “আমি কোনও ভাবেই ওই অবরোধ আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম না। কিছু লোকজন রেল অবরোধ করছেন দেখে তাঁদের সাথে কথা বলে আন্দোলন তোলার চেষ্টা করছিলাম। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা আরপিএফকে দিয়ে জোর করে আমার নাম অবরোধকারীদের তালিকায় লেখায়। আদালতে ন্যায় বিচারই পাবো।’’
যদিও তৃণমূল সুভাষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, “তৃণমূল কখনও তদন্তের বিষয়ে নাক গলায় না। রেল বা আরপিএফ কেন্দ্রের আওতাধীন। তাই ওই প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা নিজের কাণ্ডকারখানাতেই মারপ্যাঁচে পড়ে ন্যূনতম বোধ-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলছেন।”