মঞ্চে মন্ত্রী, নীচে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের একাংশের। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের কর্মিসভায় রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই বিক্ষোভ কর্মীদের। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পছন্দ না হওয়ায় সভা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা। ঘটনা বীরভূমের মুরারইয়ের। যদিও বিক্ষোভের কথা মানতে রাজি নন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তাঁর আবার দাবি, ভোটে বিপুল জয়ের কথা ভেবে আগাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
রবিবার দুপুরে মুরারই পশুহাটে জনগর্জন সভা উপলক্ষে একটি কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ। সেই সভায় মুরারই ১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নবাবের নাম ঘোষণা হতেই সভায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভের কারণে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের শান্ত করতে মাইক হাতে আসরে নামেন বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সভাস্থল ছেড়ে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। যদিও কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি নির্বাচনে জয় নিশ্চিত, সেই আনন্দেই কর্মী ও সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘সামনেই ভোট। সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে ভোটের ফল বেরোবে এবং আমরা বিপুল ভোটে জিতব। ওরা এখনই রেজাল্ট চায়। তাই অতি উৎসাহে ছেলেরা উচ্ছ্বাস দেখিয়ে ফেলেছে। ও কিছু না।’’