ধস্তাধস্তি বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিজস্ব চিত্র
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পড়ছে লম্বা লাইন। আর ওই লাইনকে হাতিয়ার করেই গজিয়ে উঠছে দালাল চক্র! অভিযোগ, টিকাকরণের কুপন সংগ্রহের লাইনে স্থান দখল করে রাখছে ওই ‘দালালে’রা। টাকা দিলেই মিলছে লাইনে দাঁড়ানোর ছাড়পত্র। এ বার সেই দালাল চক্র চলার অভিযোগ উঠল বীরভূমের বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গোলমাল। চলে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি।
বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে কোভিড টিকা দেওয়া। প্রতিদিন ১২০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে নাম লেখাতে হচ্ছে। অভিযোগ, সক্রিয় দালাল চক্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে মিলে টিকা দেওয়ার তালিকায় অন্যদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও টিকা প্রতি ১২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই লাইনে অন্য লোককে ঢুকিয়ে দেওয়া নিয়েই শুরু হয়ে যায় বচসা। বচসা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। রীতিমতো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টিকার জন্য লাইন দেওয়া মৌমিতা মণ্ডল নামে এক তরুণী বলেন, ‘‘আমি ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমাদের পিছনে যারা ছিলেন, তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করার পর বলা হয়েছে, তালিকায় নাম থাকলে তবেই টিকা মিলবে। কেউ কেউ বলছেন, তালিকায় নাম তুলতে কমপক্ষে ১২০০ টাকা দিতে হবে। তবেই আপনি টিকা নিতে পারবেন।’’
দালাল চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে উঠেছে সেই সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘আমি নিজেই লাইন দিয়ে টিকা নিচ্ছি৷ মিথ্যা অভিযোগ করছে আমার বিরুদ্ধে।’’ স্বাস্থ্যকর্মী রাজা লালা বলেন, ‘‘টাকা নিয়ে টিকা দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। পাবলিককে জিজ্ঞাসা করুন। বিডিও অফিস থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী টিকা দেওয়া হচ্ছে।’’